Tips to sleep fast

আট ঘণ্টার ঘুম যথেষ্ট নয়! কেন মহিলাদের পুরুষদের তুলনায় বেশি ঘুম দরকার?

ঘুম। কয়েক রাত না ঘুমোলেই যে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, এমন নয়। কিন্তু মস্তিষ্ক এক ভাবে সচল নাও থাকতে পারে। কাজের সময়ে অনেক কিছুই গুলিয়ে যায়। মন দিয়ে কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে। সমস্যা হয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও। ব্যস্ততম জীবনে কাজের চাপে ঘুমের ঘাটতি থেকে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ০৯:০২
Share:

কেন মহিলাদের বেশি ঘুম দরকার? ছবি: সংগৃহীত।

দিনভর সব কাজ ঠিক ভাবে করতে গেলে সবচেয়ে জরুরি হল আট ঘণ্টা নির্বিঘ্ন ঘুম। কারও তার চেয়ে সামান্য বেশি, কারও বা অল্প কম প্রয়োজন। ঠিক যে ভাবে শরীরের খাদ্য ও জল প্রয়োজন, তেমনই দরকার ঘুম। কয়েক রাত না ঘুমোলেই যে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, এমন নয়। কিন্তু মস্তিষ্ক এক ভাবে সচল নাও থাকতে পারে। কাজের সময়ে অনেক কিছুই গুলিয়ে যায়। মন দিয়ে কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে। সমস্যা হয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও। ব্যস্ততম জীবনে কাজের চাপে ঘুমের ঘাটতি থেকে যায়। বিশেষ করে মহিলাদের শুধু বাইরের কাজ নয়, বাড়ির সিংহভাগ দায়িত্বও সামলাতে হয়। এ ক্ষেত্রে কর্মজীবী মহিলাদের উপর চাপ বেশি পড়ে। এত কিছু একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে ব্যাঘাত ঘটে ঘুমের। চিকিৎসকদের মতে, পুরুষের চেয়ে মহিলাদের ঘুমের প্রয়োজন বেশি। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম মহিলাদের জন্য যথেষ্ট নয়।

Advertisement

‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ বলছে, প্রায় ৪০ শতাংশ নারী অনিদ্রায় ভুগে থাকেন। প্রাথমিক কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে জৈবিক গঠন অনুসারে পুরুষ এবং মহিলাদের ঘুমের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে সামান্য পরিবর্তন থাকতে পারে। এ ছাড়া গবেষণায় বলা হচ্ছে যে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঘুম অনেক বেশি সজাগ। অর্থাৎ, ছেলেদের মধ্যে গভীর ঘুমের প্রবণতা আছে, তুলনায় মেয়েদের ঘুম পাতলা। ফলে সময় পেলেও বিভিন্ন কারণে ঘুম ভেঙে যায়। অনেক মহিলাই যে হেতু ঘর এবং বাইরে দুটোই সামলান, তার জন্য একটা মানসিক চাপ সব সময়ে কাজ করে তাঁদের মধ্যে। নিশ্চিন্তে ঘুমোনোর সুযোগ কম থাকে। এ ছাড়াও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, ব্যক্তিগত জীবনযাপন ও কর্মক্ষমতা বজায় রাখতেও মহিলাদের ঘুমের প্রয়োজন বেশি।

অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে কী করতে পারেন মহিলারা?

Advertisement

১) টিভি, ল্যাপটপ কিংবা ফোন ব্যবহার করার সময় কমিয়ে আনুন। বৈদ্যুতিন পর্দায় চোখ রাখলেই মস্তিস্ক সজাগ ও সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে এই নিজেকে এই ধরনের পর্দার সামনে থেকে সরিয়ে নিন। যদি কিছু করতেই হয়, তবে একটু দূর থেকে মৃদু সঙ্গীত বাজাতে পারেন। তবে হেডফোন কানে লাগিয়ে ঘুমাবেন না কোনও মতেই।

২) কী খাচ্ছেন তাঁর সঙ্গেও ঘুমের যোগ রয়েছে। ক্যাফিন-সমৃদ্ধ খাবার খেলে বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘুম আসে না। কফি ও চকোলেটে এই উপাদানটি থাকে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগেই থামিয়ে দিতে হবে এই ধরনের খাবার। পাশাপাশি রাতের খাবার যথাসম্ভব হালকা রাখাই ভাল অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খেলে হজমের সমস্যায় ঘুম আসতে বিলম্ব হতে পারে।

৩) ঘুমোতে যাওয়ার সময় অনেকেরই মাথায় হরেক রকমের দুশ্চিন্তা আসে। আর এই দুশ্চিন্তাই অনিদ্রার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই সমস্যাগুলি মাথার থেকে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এর সবচেয়ে ভাল উপায় রোজ ঘুমানোর আগে দুশ্চিন্তার কথা লিখে রাখা। শুধু দুশ্চিন্তার কথা নয়, আগামী দিনে কী কী কাজ বাকি পড়ে আছে, তা-ও লিখে রাখতে পারেন। এতে অন্তত কিছু সময়ের জন্য মাথা হালকা হয়ে যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement