শীতে চা বেশি খেলে হাঁটুর ব্যথা বাড়বে। ছবি: ফ্রিপিক।
চা পানের সঙ্গে হাঁটুর ব্যথার সম্পর্ক আছে? শুনতে অবাক লাগলেও, তেমনই মনে করছেন দিল্লি এমস-এর চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, চা পানে ক্ষতি নেই। কিন্তু শীতের সময়ে যখন শরীরে জলের ঘাটতি বেশি হয়, তখন যদি কাপের পর কাপ চা পান করেন কেউ, তা হলে তাঁর গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়বে। হাঁটুতে ব্যথাও ভোগাতে পারে। আর্থ্রাইটিস আগে থেকেই থাকলে চা ও কফি পরিমাপ বুঝেই খেতে হবে।
চায়ের সঙ্গে হাঁটুর ব্যথার কী সম্পর্ক?
হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে আছে মাংসপেশি, লিগামেন্ট, কার্টিলেজ, ক্যাপসুল, সাইনোভিয়াল মেমব্রেন, সাইনোভিয়াল ফ্লুইড, শিরা ধমনী-সহ অনেক কিছুই। সাইনোভিয়াল মেমব্রেন থেকে নিঃসৃত সাইনোভিয়াল ফ্লুইড হাঁটুর অস্থিসন্ধিকে সাবলীল রাখে। রোজকার হাঁটাচলা, দৌড়, ওঠাবসার কারণে হাঁটুর হাড়ে যে ঘর্ষণ হয়, তার থেকে সুরক্ষা দেয় ওই তরল। সাইনোভিয়াল ফ্লুইডের মূল উপাদান হল জল, যা অস্থিসন্ধিকে আর্দ্র রাখে ও হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ কমায়। এই জলই যদি শুকিয়ে যায়, তা হলে মুশকিল। চা বা কফিতে এত বেশি পরিমাণে ক্যাফিন থাকে, যা অস্থিসন্ধির ওই সাইনোভিয়াল তরলকে শুকিয়ে দিতে পারে। চিকিৎসকদের দাবি, শীতের সময়ে অনেকেই জল কম খেয়ে ঘন ঘন চা বা কফি খান। ফলে শরীরে বেশি মাত্রায় ক্যাফিন জমা হতে থাকে, যা সাইনোভিয়াল ফ্লুইডের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তখন ব্যথা শুরু হবে।
শীতের দিনে বেশি করে জল ও তরল খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে চা বা কফি কম খেতে বলেন। বদলে নানা রকম ডিটক্স পানীয় খাওয়া ভাল। এতে শরীর আর্দ্র থাকবে। চায়ের বদলে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ বাদামের দুধ, কাওয়া, হলুদ-দারচিনির চা, ওট্সের স্মুদি খেলে উপকার বেশি হবে।