কোলস্টেরল উধাও হবে,কমবে রক্তচাপও,শিখে নিন ৩ আসন। ছবি: ফ্রিপিক।
পুজো মানেই মন ভরে খাওয়াদাওয়া। সারা বছর নিয়ম মেনে খাবার খেলেও, পুজোর সময় সেই নিয়ম না ভাঙলে উৎসব ফিকে হয়ে যায়। ফ্রায়েড চিকেন, ড্রামস্টিক, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের হাতছানি কিছুতেই এড়ানো যায় না। পুজো মানে বাঙালি পাত পেড়ে খাবেই। শেষপাতে মিষ্টিতেও কার্পণ্য করবে না। আর এই সব অনিয়মেই মাত্রা ছাড়াবে কোলেস্টেরল। যাঁদের কোলেস্টেরল এমনিতেই বেশি, তাঁদের আরও সমস্যা। ভাজাভুজি খাবেন, না কোলেস্টেরলের ভয় পাবেন— এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলবেই। পুজোর আগেই যদি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলে রাশ টানতে হয়, তা হলে শুধু ওষুধ খেয়ে কাজ হবে না। এখন থেকেই অভ্যাস করতে হবে কিছু যোগাসন।
কোলেস্টেরল ধারেকাছে ঘেঁষবে না, কী কী আসন রোজ করবেন?
অর্ধমৎস্যেন্দ্রাসন
নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা কমবে। বাতের ব্যথাবেদনাও দূর হবে। আসনটি করার জন্য ম্যাটের উপর দু’পা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। বাঁ পা ডান ঊরুর নীচে রাখুন। এর পর যে পা রেখেছেন, তার উল্টো দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে রাখুন। একটি হাতে সামনের পায়ের পাতা স্পর্শ করে থাকবেন। আর অন্য হাতটি ঘুরিয়ে রাখবেন কোমরে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ৩০ সেকেন্ড করে তিন সেটে করতে হবে এই আসন।
পশ্চিমোত্তাসন
প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে দু’ হাত তুলে মাথার দু’ পাশে উপরের দিকে রাখুন। আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’ হাত দিয়ে জোড়া পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। দু’টি পায়ের মাঝখানে কপাল ঠেকান, হাঁটু ভাঁজ হবে না। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে আসুন। পশ্চিমোত্তাসন অভ্যাসে শুধু কোলেস্টেরল নয়, রক্তে শর্করার মাত্রাও কমবে। পেটের মেদ ঝরাতেও কার্যকরী এই আসন।
চক্রাসন
শরীরের ভঙ্গি এমন হবে, যেন বাইরের থেকে দেখলে তা চাকার মতো লাগে। প্রথমে ম্যাটের উপর টান টান হয়ে শুয়ে পড়ুন। শ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্বাভাবিক থাকে। এ বার ধীরে ধীরে হাঁটু ভাঁজ করুন। পায়ের পাতা যেন মাটি স্পর্শ করে থাকে। দুই হাত ধীরে ধীরে উপরের দিকে প্রসারিত করুন। কনুই উল্টো দিকে ভাঁজ করে নিয়ে যান মাথার দু’পাশে। এ বার পা এবং হাতের পাতার উপর ভর দিয়ে পুরো শরীরটাকে মাটি থেকে শূন্যে তুলে নিন। মাথা যেন মাটি স্পর্শ করে থাকে। এই আসন খুব সহজ নয়, ধীরে ধীরে অভ্যাসে আয়ত্তে আসবে। নিয়মিত অভ্যাস করলে হার্টও ভাল থাকবে।