—প্রতীকী ছবি।
দেবীর আগমনীর আনন্দে প্রায় প্রত্যেক বাঙালি হিন্দুই নিজেদের ঘরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলেন। নিজেদের সাজানোর জন্য যেমন নতুন নতুন জিনিস কেনেন, তেমনই ঘরবাড়ি সাজানোর জন্যও বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করেন। গোছানো, পরিষ্কার ঘরবাড়িতে মা থাকতে পছন্দ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। অনেকেই আবার এই সময় গাড়ি-বাড়ি কেনেন মায়ের আশীর্বাদ সঙ্গে থাকবে এই আশা নিয়ে। কিন্তু সকলের পক্ষে সে সব কেনা সম্ভব নয়। সামান্য পাঁচটি জিনিস রয়েছে যেগুলি দুর্গাপুজোর সময় বাড়িতে কিনে আনলে বাস্তু তথা বাড়ির সকলের মঙ্গল হবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
দুর্গাপুজোর সময় কী কী কেনা শুভ?
কলস: যে কোনও পুজো বা শুভ কাজের সূচনা হয় কলস স্থাপন দিয়ে। আমাদের ধর্মে কলসের গুরুত্ব অপরিসীম। সেই কারণে এই সময় বাড়িতে কলস কিনে আনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। কলস হল শুভ শক্তির প্রতীক। রুপো, তামা, কাঁসা প্রভৃতি যে কোনও ধাতুরই কলস কিনে আনা যেতে পারে। এতে বাড়িতে শুভ শক্তির সঞ্চার ঘটবে।
মা দুর্গার মূর্তি: দুর্গাপুজোর পাঁচ দিনের মধ্যে বা দেবীপক্ষে বাড়িতে মা দুর্গার মূর্তি কিনে আনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এতে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় তাকে। আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়। তবে দেবীর মূর্তি বা ছবি যা-ই আনুন না কেন, সেটিকে ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে রাখতে হবে।
দেবীর পায়ের ছাপ: লাল আলপনার মতো দেখতে, আলতা বা রং দিয়ে আঁকা দেবীর পায়ের ছাপ এই সময় বাড়ির জন্য কিনে আনতে পারেন। তবে সেই ছাপ কিনে এনে মেঝেতে ফেলে রাখা যাবে না। এক মুহূর্তেও জন্যও সেটিকে মেঝে স্পর্শ করাবেন না। পুজোর জায়গায় বা কোনও উঁচু স্থানে সেটিকে রেখে দিতে হবে। শাস্ত্রমতে, বাড়িতে দেবীর পায়ের ছাপ রাখা অত্যন্ত শুভ।
শ্রীযন্ত্র: শুভ শক্তির প্রতীক হিসাবে বিখ্যাত শ্রীযন্ত্র। এটি দুর্গা বিষা যন্ত্র নামেও পরিচিত। বছরের যে কোনও সময়ই এই যন্ত্র বাড়িতে এনে প্রতিষ্ঠা করা গেলেও, দুর্গাপুজোর সময়কাল এই যন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রেষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। এতে বাড়িতে আর্থিক সচ্ছলতা আসে। তারই সঙ্গে বাড়ির সদস্যদের আয়ের পথ থেকে সমস্ত প্রকার বাধা সরে যায়।
লাল পতাকা: দেবীপক্ষের প্রথম দিন বাড়িতে একটা লাল পতাকা কিনে আনুন। সেটিকে অষ্টমী পর্যন্ত বাড়িতে রেখে পুজো দিন। তার পর নবমীর দিন সেটিকে কোনও মন্দিরে দান করে দিন। চোখে পড়ার মতো আর্থিক উন্নতি হবে।