—প্রতীকী ছবি।
বাংলা ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ইংরেজি ৩ জুন, মঙ্গলবার লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান দিবস। বহু বাঙালি হিন্দুর ঘরে এই দিন লোকনাথ বাবার পুজো করা হয়। সামান্য উপকরণ দিয়েই লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পুজো করে ফেলা যায়। ১৯ জ্যৈষ্ঠ সারা দিন যে কোনও সময়ই লোকনাথ বাবার পুজো করা যেতে পারে। কিন্তু সাধারণত দিনের আলো থাকাকালীন সময়ই লোকনাথের পুজো করা হয়।
কথিত রয়েছে, লোকনাথ বাবা নাকি স্বয়ং মহাদেবের অবতার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কচুয়া গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয়েছিল তাঁর। লোকনাথদেবের বাবা ছিলেন রামনারায়ণ ঘোষাল আর মা কমলা দেবী। জন্মাষ্টমী তিথিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভক্তেরা মনে করেন, লোকনাথ বাবা খুবই জাগ্রত। তাঁদের বিশ্বাস, লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশীর্বাদ তাঁদের সঙ্গে থাকলে যে কোনও কঠিন মুহূর্ত সহজে অতিক্রম করে ফেলা যাবে। বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে ডাকলে লোকনাথ বাবার সাহায্য পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। যদিও তাঁর পুজো করার বিশেষ কোনও নিয়ম নেই, তবুও কয়েকটি জিনিস বাবা খুবই পছন্দ করেন। পুজো করার সময় সেগুলি যদি তাঁকে অর্পণ করা হয় তা হলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।
লোকনাথের পুজোয় কী কী দেবেন:
১. কথিত রয়েছে, লোকনাথ বাবা মিছরি খেতে খুব ভালবাসেন। তাই তাঁর পুজোর প্রসাদ হিসাবে মিছরি রাখতেই হবে।
২. মিছরি ছাড়া অমৃতিও লোকনাথ ব্রহ্মচারীকে প্রসাদ হিসাবে দিতে পারেন। অমৃতিও লোকনাথের প্রিয় খাবার বলে মনে করা হয়। এছাড়া যে কোনও সাদা রঙের মিষ্টি, যেমন— চিনির পায়েস, সন্দেশ প্রভৃতি দিতে পারলে খুব ভাল হয়।
৩. লোকনাথ ব্রহ্মচারীর চরণে যদি নীল শাপলা ফুল নিবেদন করতে পারেন তা হলে খুব ভাল হয়। এটি করলে আপনার সকল মনস্কামনা পূরণ হতে পারে।
৪. সাদা রং লোকনাথ বাবা খুব পছন্দ করেন বলে মনে করা হয়। যে কোনও সাদা ফুল এই পুজোয় ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. মরসুমি ফল লোকনাথ বাবার পুজোয় অবশ্যই দিতে হবে। তালশাঁস, লিচু, জাম প্রভৃতি ফল তাঁর প্রসাদ হিসাবে অর্পণ করতে হবে।
৬. পুজোর ভোগ হিসাবে পোলাও-আলুর দমের থেকে ভাত, ডাল, চচ্চড়ি বা খিচুড়ি, লাবড়ার তরকারি দিতে পারলে খুব ভাল হয়।