আশ্বিন মাসে শুক্লপক্ষের শেষ পূর্ণিমা তিথি কোজাগরী পূর্ণিমা নামে পরিচিত। এই দিন দেবী লক্ষ্মীর পুজো করা হয়। এই বছর ৬ অক্টোবর, সোমবার পড়েছে কোজাগরী পূর্ণিমা। প্রায় সকল হিন্দু বাঙালির বাড়িতেই এই বিশেষ তিথিতে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। ওই দিন পুরোহিত নিয়েও টানাটানি পড়তে দেখা যায়। রাত গড়িয়ে মধ্যরাত হয়ে যায়, তবুও পুরোহিতের দেখা পাওয়া যায় না। পুরোহিতের এই সমস্যার জন্য বহু মানুষ এখন নিজেরাই বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো করে নেন। তবে সে ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় পুজোয় কী কী সামগ্রী লাগবে, সেগুলি সঠিক ভাবে না জানা। পুরোহিত দিয়ে পুজো করালে তিনি ফর্দ বানিয়ে দেন। কিন্তু নিজেরা পুজো করলে সেই সুবিধা পাওয়া যায় না। তাই বাজারে পুজোর জিনিস কিনতে যাওয়ার আগে দেখে নিন দেবীর পুজোয় কী কী লাগে।
বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো করার প্রয়োজনীয় সামগ্রীর তালিকা:
- নানা বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীকে নানা রূপে পুজো করা হয়। ছবি, মূর্তি, মাটির সরার উপর আঁকা দেবী লক্ষ্মীকেও পুজো করা হয়ে থাকে। কিছু কিছু বাড়িতে কলাগাছ বা আখকেও দেবী লক্ষ্মী হিসাবে পুজো করা হয়। বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী দেবীর প্রতিমা নিয়ে আসতে হবে।
- লক্ষ্মীর ঘট স্থাপনের জন্য লাগবে পিতল বা তামা বা মাটির ঘট। একটা চেলি, শিসযুক্ত ডাব, গঙ্গামাটি, ধান, দূর্বা, ফুল ও চাঁদমালা। ঘটের উপর স্বস্তিক চিহ্ন আঁকার জন্য লাগবে সিঁদুর গোলা। ঘটের উপর দেওয়ার জন্য শিসযুক্ত ডাব না পেলে কাঁঠালি কলা বা হরিতকীও দেওয়া যেতে পারে।
- দেবীর কাছে দিতে হবে লক্ষ্মীর ঝাঁপি, সিঁদুরের কৌটো, আলতা, ৫টি কড়ি, শাঁখা, পলা ও লোহা। লক্ষ্মীর ঝাঁপির কানা পর্যন্ত চাল ভর্তি করে মায়ের পায়ের কাছে রাখতে হবে। সেটির উপর কড়ি ও ১ টাকার কয়েন দিতে হবে।
- মায়ের আসন পাতার জন্য লাগবে পাঁচটি পান, সুপারি, হরিতকী ও ফল। প্রথমে পানগুলি রাখতে হবে। তার পর সেগুলির উপর একটি করে ফল রেখে, সুপুরি ও হরিতকী রেখে দিতে হবে। অনেক বাড়িতে শুকনো হলুদ ও কড়ি রাখারও নিয়ম থাকে। বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী পানপাতার উপর অন্যান্য জিনিসও রাখা যেতে পারে।
- এ ছাড়াও লাগে দর্পণ, পদ্মবীজ, পদ্মফুল, পঞ্চগুঁড়ি, পঞ্চরত্ন, পঞ্চগব্য, তেকাঠি ও গঙ্গাজল।
- ভোগের ক্ষেত্রে দেবীকে মন যা চাইবে তা-ই দিতে পারেন। তবে নাড়ু ও মুড়কি রাখা আবশ্যিক। এই দুই জিনিস মা লক্ষ্মীর অতি পছন্দের।