মানুষের শায়িত ভাগ্যকে জাগ্রত করতে কার্যকরী গ্রহরত্ন।
তেমনই ভুল রত্ন ধারণে ভাগ্যে আঁধারও নেমে আসতে পারে। তাই যে কোনও রত্ন ধারণের
পূর্বে সেটি কেন পরছেন, তার ফলাফল কী হতে পারে এবং আপনার জন্মছক অনুযায়ী সেই রত্ন
আপনার কাজে আসবে কি না সেটা যাচাই করে নেওয়া জরুরি। জ্যোতিষশাস্ত্রে উল্লিখিত নানা
রত্নের মধ্যে অন্যতম গোমেদ। এটিকে রাহুর রত্ন মনে করা হয়। রাহুর কুপ্রভাব থেকে
আমাদের রক্ষা করে এই রত্ন। তবে সকলের জন্য এই রত্ন শুভ না-ও হতে পারে। জেনে নিন
গোমেদ কারা পরতে পারেন।
গোমেদ কাদের জন্য কার্যকরী?
- বৈদিক শাস্ত্রমতে, কুম্ভ রাশির ব্যক্তিদের জন্য গোমেদ
অত্যন্ত কার্যকরী। এই রাশির ব্যক্তিরা গোমেদ ধারণে খুব ভাল ফল পান।
- কুম্ভ বাদে তুলা, বৃষ ও মিথুন রাশির ব্যক্তিরাও গোমেদ পরতে
পারেন। ভাল ফল পেতে পারেন।
- রাহুর কুপ্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য জ্যোতিষীরা গোমেদ ধারণের
পরামর্শ দেন। এতে রাহুর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। রাহুর
প্রভাবে মানুষের মনে নানা রকম কুচিন্তা ভিড় করে আসে, দ্বিধার সৃষ্টি হয়। গোমেদ
ধারণে সে সকল বিষয় থেকে নিস্তার মেলে।
- জন্মছকে রাহু দুর্বল থাকলেও গোমেদ ধারণ করা যেতে পারে। এতে
রাহুর শুভ ফলদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে রাহু শুভ হয়। আর রাহু শুভ হলে জীবনে
প্রবল উচ্চাশার সঞ্চার করে। অশুভ রাহু অর্থ ক্ষয়, শত্রু দ্বারা
পরাস্ত, শত্রু বৃদ্ধি, দৈহিক-মানসিক
চাপ সংক্রান্ত অশুভ ফল দান করে।
গোমেদর ধারণের নিয়মগুলি কী কী?
- আংটি বা গলার লকেট হিসাবে গোমেদ ধারণ করা যেতে পারে।
রুপো দিয়ে বাঁধিয়ে এই রত্ন ধারণ করতে হবে। সোনা দিয়ে বাঁধিয়েও পরা যেতে পারে। এ
বিষয়ে জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়াই শ্রেষ্ঠ।
- গোমেদ ধারণ করার আগে সেটিকে শোধন করতে হবে। বুধবার বা
শনিবার গোমেদ ধারণ করা যেতে পারে।
- গোমেদের সঙ্গে চুনি, লাল প্রবাল, মুক্তো ধারণ করা যেতে পারে। নীলা, পান্না এবং
ক্যাটসআই এই রত্নের সঙ্গে ধারণ করা উচিত নয়।
যে কোনও রত্ন ধারণের পূর্বে
জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক। কোষ্ঠী বিচারে ফলের পরিবর্তন ঘটতে পারে।