Astro Tips

মন্দিরে ঢোকা না বেরোনো, কোন সময় ঘণ্টা বাজানো উচিত? কোন দেবী পছন্দ করেন না ঘণ্টার আওয়াজ?

হিন্দু ধর্মে ঘণ্টা বাজানোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। ঘণ্টার শব্দের মাধ্যমে পজ়িটিভ শক্তিকে জাগিয়ে তোলা হয়। কিন্তু কয়েকটি নির্দিষ্ট পুজো ও সময়ে ঘণ্টা বাজানো উচিত নয়।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫ ১৫:৩১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আমরা প্রায় সকলেই মন্দিরে গিয়ে ঘণ্টা বাজাই। হিন্দু ধর্মে ঘণ্টা বাজানোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এতে আমাদের মনের শান্তি হয়। কথিত রয়েছে, মনস্কামনা জানানোর পর মন্দিরের ঘণ্টা বাজানো হলে ভগবানের আশীর্বাদ লাভ করা যায়। ঘণ্টার শব্দের মাধ্যমে পজ়িটিভ শক্তিকে জাগিয়ে তোলা হয়। সেই কারণে আমাদের বাড়িতেও পুজো করার সময় ঘণ্টা বাজানো হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু পুজো রয়েছে যাতে ঘণ্টা বাজানো হয় না। তেমনই, নির্দিষ্ট একটি সময় ঘণ্টা বাজাতে নেই। জেনে নিন ঘণ্টা বাজানোর শুভ-অশুভ।

Advertisement

ঘণ্টা বাজানোর শুভ দিকগুলি কী কী?

১. ঘণ্টার শব্দে বাতাসের কণায় থাকা নেগেটিভ শক্তিরা ধ্বংস হয়। বদলে চারিপাশে একটি পজ়িটিভ পরিবেশ তৈরি হয়।

Advertisement

২. অনেক মন্দিরে ঢোকার মুখে ঝোলানো বড় ঘণ্টা বাজালে ‘ওম’ ধ্বনির সৃষ্টি হয়। ওম ধ্বনিটির মধ্যে একটি শুভ ব্যাপার রয়েছে। যা আমাদের মনকে শান্ত করে, ফলত ভগবানের সঙ্গে আমরা আরও ভাল করে, শুদ্ধ মন নিয়ে যোগাযোগ করতে পারি।

৩. কথিত রয়েছে, ঘণ্টা সর্বদা মন্দিরে ঢোকার মুহূর্তে বাজানো উচিত। এতে চারিপাশে একটা পজ়িটিভ শক্তি ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টার শব্দে ভগবান জাগ্রত হন।

ঘণ্টা বাজানোর অশুভ দিকগুলি কী কী?

১. লক্ষ্মীপুজোয় কখনও ঘণ্টা বাজাতে নেই। মা লক্ষ্মী অত্যন্ত শান্ত দেবী, তিনি শান্ত পরিবেশে থাকতেই পছন্দ করেন। ঘণ্টার আওয়াজ তিনি পছন্দ করেন না। তাই বৃহস্পতিবার করেও পুজো দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজানো উচিত নয়। এতে বাড়ির লক্ষ্মীশ্রী নষ্ট হয়।

২. মন্দির থেকে বেরোনোর সময় কখনও ঘণ্টা বাজাতে নেই। এতে পজ়িটিভ তরঙ্গ বিনষ্ট হয়। তাই মন্দিরে ঢোকার সময় ঘণ্টা বাজান, মন্দির থেকে বেরোনোর সময় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement