—প্রতীকী ছবি।
শনিদেব হলেন কর্মফলদাতা দেবতা। আপনি যেমন কাজ করবেন, শনিদেব আপনাকে তেমন ফলই দান করবেন। কোনও খারাপ কাজ না করলে শনিদেব খামোকা আপনাকে অভিশাপ দেবেন না। তবে আমরা প্রতি দিনের জীবনে নিজেদের অজান্তেই নানা ভুল করে ফেলি যাতে শনিদেব রুষ্ট হন। ফলত একটু হলেও তাঁর রাগের শিকার আমরা হই। তবে শনিদেবকে যদি মন দিয়ে ডাকা যায় ও তাঁর আরাধনা করা যায় তা হলে জীবনে কোনও কষ্ট থাকে না। শনিদেবের আশীর্বাদের জোরে আমরা সকল দুঃখ ও অভাব থেকে মুক্তি পাই। কিন্তু শনিদেবকে পুজো করার নিয়ম অন্যান্য দেবতার থেকে একটু আলাদা। সেই সকল সঠিক নিয়ম মেনে পুজো না করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। জেনে নিন তাঁকে অর্চনা করার বিশেষ নিয়মকানুন।
শনিদেবকে পুজো করার নিয়মাবলি:
১. শনিদেবকে পুজো করার উপযুক্ত দিন হল শনিবার। এটা আমাদের অনেকেরই জানা, তবে শুধু বার মেনে পুজো করলেই হবে না। শনিদেবকে পুজো করার জন্য সময়ের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যোদয়ের আগে বা সূর্যাস্তের পরে শনিদেবকে পুজো করতে হয়। তা হলেই তাঁর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। বাকি সময় পুজো না করাই ভাল।
২. শনিদেবকে পুজো করার সময় কোনও ভাবেই লাল রঙের জামা পরা যাবে না। কালো ও নীল রংকে শনিদেবের প্রিয় রং মনে করা হয়। তাই তাঁকে পুজো করার সময় এই দুই রঙের জামা পরতে পারেন।
৩. ভুল করেও শনিদেবের চোখের দিকে সরাসরি তাকাবেন না, তাঁর সামনে মাথা নত রাখতে হবে। চোখ বন্ধ করেও পুজো দেওয়া যেতে পারে। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেও শনিদেব পুজো নেন না। শনিদেবকে পুজো করার সময় তাঁর সামনে বসে, তাঁর চোখে চোখ না রেখে পুজো করতে হবে।
৪. পশ্চিম দিকে মুখ করে পুজো করতে বসবেন। তবে, খেয়াল রাখতে হবে শনিদেবের দিকে যেন আপনার পিঠ না পড়ে। তা হলেও সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে।
৫. শনিদেবের সামনে প্রদীপ জ্বালাবেন না। বদলে আশপাশে থাকা অশ্বত্থ গাছের তলায় সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে মনে মনে শনিদেবকে ডেকে নিজের মনস্কামনা জানাবেন, উপকৃত হবেন।
৬. শাস্ত্রমতে, শনিদেবের পুজোয় তামার বাসন ব্যবহার করা যাবে না। এর বদলে লোহার তৈরি বাসন ব্যবহার করতে পারলে খুব ভাল হয়।
৭. শনিদেবকে ভুল করেও লাল রঙের ফুল দেওয়া যাবে না। আকন্দ, নীলকণ্ঠ এবং যে কোনও সাদা রঙের ফুল শনিদেব খুব পছন্দ করেন। সেই সমস্ত ফুল দিয়েই তাঁর পুজোর কাজ সারতে হবে। প্রসাদ হিসাবে দেওয়া যেতে পারে কালোজাম ও বাতাসা। এ ছাড়া যে কোনও ফলও দেওয়া যেতে পারে।