—প্রতীকী ছবি।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে লাড্ডুগোপাল বা নাড়ুগোপালের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। যাঁদের বাড়িতে লাড্ডুগোপাল প্রতিষ্ঠিত থাকে, তাঁরা সেটিকে শিশুর মতো যত্ন করেন। কারণ, হিন্দু ধর্ম মতে লাড্ডুগোপাল হল শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার রূপ। তাই তাঁর যত্নে কোনও খামতি রাখা হয় না। বিশ্বাস করা হয়, যে বাড়িতে সঠিক নিয়ম মেনে লাড্ডুগোপালকে প্রতিষ্ঠা ও পুজো করা হয়, সেই বাড়িতে সুখশান্তির কোনও অভাব থাকে না। ঋতুবিশেষে মানুষ যেমন নিজেদের পরিচর্যার ধরন বদলান, তেমনই লাড্ডুগোপালের ক্ষেত্রেও ঋতুভেদে পরিচর্যার নিয়ম বদলানো উচিত বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। শীতকালে বাড়ির নাড়ুগোপালকে কী ভাবে খুশি রাখবেন জেনে নিন।
শীতকালে নাড়ুগোপালের যত্নের নিয়ম:
১. গোপালের যাতে শীত না লাগে সেটা নিশ্চিত করার জন্য তাঁকে প্রতি রাতে অল্প পরিমাণে গরম দুধ খেতে দিন। সেটির মধ্যে এক চিমটে হলুদ ও কেশর মিশিয়ে দিন। এতে নাড়ুগোপাল অত্যন্ত প্রসন্ন হবেন।
২. শীতের মরসুমে গোপালের খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সম্ভব হলে তাঁর নৈবেদ্যে প্রতি দিন একটি করে নাড়ু রাখতে পারেন। এতে তিনি অত্যন্ত খুশি হন।
৩. শাস্ত্রমতে, নাড়ুগোপালের পছন্দের রং হলুদ। শীতে তাঁকে অবশ্যই হলুদ রঙের জামা পরিয়ে রাখুন। পুজোর সময় হলুদ রঙের ফুল দিয়ে সাজান। প্রয়োজনে হলুদ রঙের টুপিও পরাতে পারেন।
৪. কোষ্ঠীতে বুধের অবস্থান শক্তিশালী করতে শীতকালের নানা রকম মরসুমি শাকসব্জি দিয়ে নিরামিষ পদ রান্না করে গোপালকে নৈবেদ্য দিন। প্রতি দিন দিতে হবে এমন কোনও ব্যাপার নেই, সপ্তাহে যে কোনও একটি করে দিন এই কাজটি করতে পারেন। এতে নাড়ুগোপাল খুশি হবেন।
৫. শীতকালে নাড়ুগোপালকে মোহনভোগ নিবেদন করতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ লাভ করা যায়।
৬. শীতকালে নাড়ুগোপালকে শীতের পোশাক অবশ্যই পরাতে হবে। গোপালকে কোনও ভাবেই ঠান্ডা লাগতে দেওয়া যাবে না। সর্বদা মনে রাখতে হবে শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার রূপ গোপাল, অর্থাৎ তিনিও শিশু-সম। তাই তাঁর যত্নে কোনও খামতি রাখলে সমস্যা হতে পারে।