করতলে প্রেম-ভালবাসার লাইন(প্রথম অংশ)

ডান করতলে বাঁদিকে চন্দ্র ও মঙ্গলের ক্ষেত্র থাকে। আর বাম করতলে ডানদিকে চন্দ্র ও মঙ্গলের ক্ষেত্র থাকে। দু’হাতেই প্রথমে এই ক্ষেত্রগুলিকে চিনতে হবে।

Advertisement

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৮ ০০:০০
Share:

করতলে চন্দ্রের বা মঙ্গলের ক্ষেত্র উঠে যে রেখা ভাগ্যরেখার দিকে চলতে থাকে, সহজ ভাবে তাকে প্রেমের লাইন বলে। এই লাইন বের করতে বা চিনতে কোনও জ্যোতিষ বা হস্তরেখাবিদের সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই, যে কেউ নিজেই এই লেখা পড়ে চিনে নিতেপারবেন।

Advertisement

ডান করতলে বাঁদিকে চন্দ্র ও মঙ্গলের ক্ষেত্র থাকে। আর বাম করতলে ডানদিকে চন্দ্র ও মঙ্গলের ক্ষেত্র থাকে। দু’হাতেই প্রথমে এই ক্ষেত্রগুলিকে চিনতে হবে। আর ভাগ্যরেখাকে চিনতে হবে। ভাগ্যরেখা করতলে কবজি থেকে লম্বালম্বিভাবে মধ্যমার দিক বরাবর গেছে ঠিক করতলের মাঝ দিয়ে।

আর প্রেমের রেখা হয় চন্দ্র বা মঙ্গলের ক্ষেত্র থেকে ভাগ্যরেখার দিকে। এই রেখা যদি দুই করতলেই থাকে, তা হলে প্রেম হয় খুব জোড়াল। এই রেখা আছে মানে প্রেম আছে বা হবে। এই রেখা না থাকলে প্রেম হবে না। এই রেখা না থাকলে যে সম্পর্ক তৈরি হয় তা হয়ত অবশ্যই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, এমনকি ভয়ঙ্কর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কিন্তু তা প্রেম নয়।

Advertisement

হাতে প্রেমের রেখা আছে মানেই বিয়ে হবে তা কিন্তু নয়। প্রেম হলেই বিয়ে করতে হবে এর কোনও মানে নেই। প্রেমকে বিয়েতে পরিবর্তিত করতে হলে কিছু শর্ত আছে, দেখতে হবে হাতে বা করতলে সেই শর্তগুলি আছে কিনা।

হাতে প্রেমের লাইন থাকার জন্য যে সম্পর্ক তৈরি হয় তা অবশ্যই আত্মিক সম্পর্ক। তা বিয়েতে পরিণত হতেই পারে আবার নাও হতে পারে। এই সম্পর্ক খুব উঁচুদরের সম্পর্ক– সমাজ বা পরিবার এই সম্পর্ক মানুক বা না মানুক। প্রেমের উচু সম্পর্ক যেমন ‘সোলমেট’-এর বাংলা করা খুব কঠিন। আরও উচু সম্পর্ক যেমন “টুইনফ্লেম” বা “টুইনসোল”। টুইনসোল এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এদের একজনের পৃথিবীর যে প্রান্তেই জন্ম হোক না কেন অপর জন তাকে খুঁজে নেবে। মূলত এ সম্পর্ক ডিভাইন রিলেশান বা দিব্য সম্পর্ক।

এ বার প্রেমের লাইন সম্পর্কে জানব—

(১) প্রেমটা কোন বয়সে হবে তা আমরা জানব ভাগ্যরেখায় প্রেমের লাইন যেখানে ছুঁতে চলেছে সেখানটা দেখে।

(২) প্রেমের লাইনটা ভাগ্যরেখাকে যে বয়সে ছোঁবে, ঠিক সেই বয়সে বিবাহরেখায় বিবাহ থাকলে বিয়েটা হয়ে যাবে। বিবাহ রেখায় সমর্থন না থাকলে প্রেমটা আজীবন থাকবে, পরস্পর পরস্পরকে আজীবন ভালবাসবে কিন্তু বিয়ে হবে না।

(৩) অনেক সময় প্রেমের লাইন ভাগ্যরেখাকে ছুঁয়ে কেটে বেরিয়ে যায়, এর মানে প্রেমটাও কেটে গেল। এটাকে “ব্রোকেন এনগেজমেণ্ট” বলে। যে কোন কারণে সম্পর্কটা ভেঙে গেল।

(৪) আবার এমন হয়, প্রেমের লাইন ভাগ্যরেখার দিকে ধেয়ে গিয়েও ভাগ্যরেখাকে ছুঁল না- এ রকম ক্ষেত্রে প্রেমটা হতে হতেও হল না। এই প্রেমটা অনেকটা ‘যে নদী মরুপথে হারিয়ে গেল’র মতো।

(৫) আবার এ রকম হয়, প্রেমের লাইন ভাগ্যরেখা স্পর্শ করল বা মিলে গেল মানে প্রেমটা একটা পরিণতি পেল মানে বিয়ে হ’ল। এ বার যেখানে প্রেমের লাইন ভাগ্যরেখায় যেখানে স্পর্শ করল, তারপর থেকে ভাগ্যরেখাটা ভাল থাকে, অর্থাত্ সবল থাকে তার মানে বিয়ে হলে দাম্পত্য জীবন সুখের হবে। আর ভাগ্যরেখা দুর্বল হলে দাম্পত্য সুখে অশান্তি হবে, যত কাল ভাগ্যরেখা খারাপ থাকবে ততকাল অশান্তি থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন