—প্রতীকী ছবি।
চলছে দেবীপক্ষ। হিন্দু ধর্মে এই সময়কালের মাহাত্ম্য বিশেষ। এই সময় বিশেষ কিছু টোটকা পালনের মাধ্যমে নানা প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যে সকল মানুষের কোষ্ঠীতে শনির সাড়েসাতির যোগ রয়েছে, তাঁরাও এই সময় বিশেষ কিছু টোটকা পালন করে নিজেদের শনির কুনজর থেকে রক্ষা করতে পারেন বলে বিশ্বাস করা হয়। কথিত রয়েছে, এই সময় মা দুর্গা তাঁর ভক্তদের আশীর্বাদ দানের উদ্দেশ্যে মর্ত্যে আসেন। সেই কারণে এই সময় তাঁকে নিষ্ঠাভরে ডাকলে বিশেষ ফলপ্রাপ্তি ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়। শনির অশুভ প্রভাব থেকে বাঁচতে এই সময় কী কী টোটকা মেনে চলবেন জেনে নিন।
শনির সাড়েসাতি থেকে বাঁচার টোটকা:
১। দেবী কালরাত্রির পুজো করতে হবে। দেবী কালরাত্রি হল মা দুর্গারই একটি রূপ। সপ্তমীর দিন দেবীর এই রূপের পুজো করা হয়। দেবীর এই রূপ শনিকে শায়েস্তা করতে সক্ষম বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই জন্মছকে শনি খারাপ অবস্থায় থাকলে এই দেবীর পুজো করতে পারেন।
২। এই সময় প্রতি দিন দুর্গার সপ্তশতী পাঠ করুন। স্নান করে শুদ্ধ বসন পরে এই মন্ত্র পাঠ করতে হবে। এতে শনির কুপ্রভাব থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে। দুর্গার সপ্তশতী পাঠের পর শনিদেবের মন্ত্র পাঠ করুন। পুজোর পর থেকেই সুফল পাওয়া শুরু হয়ে যাবে।
৩। দুর্গাপুজোর সময় অবশ্যই হনুমানজির পুজো করুন। শনির প্রকোপ থেকে বাঁচতে এই সময় হনুমানজির পুজো করা আবশ্যিক। এই বছর মহাষ্টমী পড়েছে মঙ্গলবার। আর এই দিনটি হল হনুমানজির দিন। এই দিন পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পর হনুমানজির পুজো করুন। এ ছাড়া হনুমান চালিশাও পাঠ করুন।
৪। দুর্গাপুজোর মাঝে দরিদ্রদের সর্ষের তেল দান করুন। এ ছাড়া প্রতি দিন সন্ধ্যাবেলা তুলসীগাছের গোড়ায় মাটির প্রদীপে সর্ষের তেল দিয়ে জ্বালাতে পারেন।