—প্রতীকী ছবি।
১৬ অগস্ট ২০২৫, শনিবার জন্মাষ্টমী। জন্মাষ্টমীর কথা উঠলেই আগে মনে পড়ে ছোট্ট গোপালের মুখে লেগে থাকা মিষ্টি হাসিটা। এই দিন যে শুধু গোপালের পুজো করা হয় তা নয়। জন্মাষ্টমীতে বাড়িতে কৃষ্ণের পুজোও করা হয়। এই দিনের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই দিন কিছু টোটকা করতে পারলে সংসার তথা পরিবারের সকলের ভাগ্যের উন্নতি হতে পারে।
টোটকা:
১) জন্মাষ্টমীর দিন গঙ্গাজলে কাঁচা দুধ, দই, কেশর, সাদা চন্দন, সুগন্ধি, গোলাপের পাপড়ি, তুলসীপাতা, ঘি এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে গোপালের অভিষেক করান। তার পর খুব ভাল ভাবে গোপালের সাজসজ্জা করুন। মাথার মুকুটে যেন অবশ্যই ময়ূরের পালক থাকে সে দিকে বিশেষ নজর দিন।
২) গোপালের নৈবেদ্য যতটা সম্ভব বাড়িতে নিজের হাতে তৈরি করে অর্পণ করুন। উপায় না থাকলে বাজারের তৈরি জিনিস ভোগ হিসাবে দিতে পারেন।
৩) এই দিন লাড্ডুগোপালের সামনে অবশ্যই লাড্ডুর ভোগ নিবেদন করুন। এর ফলে দাম্পত্য জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে এবং সংসারে শ্রীবৃদ্ধি হবে।
৪) জন্মাষ্টমীর দিন একটা রুপোর বাঁশি কিনে আনুন এবং সেটি নাড়ুগোপালের হাতে দিন। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল থাকে।
৫) জন্মাষ্টমীর দিন যদি বাড়িতে বীণা কিনে আনা হয়, তা হলে বাড়ির সন্তানদের লেখাপড়ায় খুব বেশি মনোযোগ বৃদ্ধি হয় বলে মনে করা হয়।
৬) গরু-বাছুর একসঙ্গে রয়েছে এমন একটি মূর্তি এই দিন বাড়িতে স্থাপন করুন।
৭) এই দিন গোপালকে মাখন এবং মিছরির ভোগ অবশ্যই অর্পণ করুন। এই ভোগ গোপাল খুবই পছন্দ করে।
৮) জন্মাষ্টমীর দিন পুজো শেষে প্রসাদ বিতরণের সময় বাড়ির বাচ্চাদের সবার প্রথমে প্রসাদ দিতে হবে। তার পর বাইরের কমপক্ষে পাঁচ জন বাচ্চাকে প্রসাদ দিন।
৯) এই দিন নিরামিষ আহার করতে হবে।
১০) জন্মাষ্টমীর দিন দান করা খুবই শুভ বলে মানা হয়। সাধ্যমতো দান করতে পারেন।