—প্রতীকী ছবি।
হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি কে না চায়। সেই বাসনাকে বাস্তব করা যেতে পারে লটারি কেটে। তাই বহু মানুষই সুযোগ পেলে লটারি কাটেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে সকলেই কি লটারি থেকে লাভ করেন? অবশ্যই না। লটারি জেতা না জেতা পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার ভাগ্যের উপর। আপনার ভাগ্যে যদি প্রাপ্তিযোগ থাকে, তা হলে কেউ আপনাকে পুরস্কার জেতা থেকে আটকাতে পারবে না। কিন্তু ভাগ্য যদি সঙ্গ না দেয়, সে ক্ষেত্রে লটারি কেটে পুরস্কার জেতা মুশকিল। শাস্ত্র বলছে, রাশিচক্রের পাঁচটি রাশি রয়েছে যাঁদের লটারি-ভাগ্য বেশির ভাগ সময় তুঙ্গেই থাকে। তা বলে এটা নয় যে অন্যরা লাটরি কেটে কেবল লোকসানের মুখই দেখেন। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, রাশিচক্রের নির্দিষ্ট পাঁচটি রাশি লটারি কেটে অন্যদের তুলনায় বেশি লাভ করেন। ২০২৫-এর শেষে এসে লটারি কেটে তাঁদের ভাগ্য বদলে যেতে পারে।
কোন পাঁচ রাশির লটারি-ভাগ্য ভাল?
মেষ: রাশিচক্রের প্রথম রাশি মেষ, আর লটারি কেটেও এঁরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রথম সারির উপহারই লাভ করেন। মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা গণিতে ভাল হন, সংখ্যার ব্যাপারে এঁদের বিশেষ জ্ঞান থাকে। সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এঁরা লটারি কেটেও ভাল লাভ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মিথুন: মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা যে কোনও নতুন জিনিস তাড়াতাড়ি রপ্ত করে নিতে পারেন। যে কোনও নতুন বিষয় শিখতে ভালবাসেন এঁরা। সেই আগ্রহ থেকেই এঁরা লটারির শুভ নম্বর চেনার ব্যাপারটাও রপ্ত করে নেন। তার পর আর এঁদের ফিরে তাকাতে হয় না। লটারি থেকে পুরস্কার জিতেই এঁদের ভাগ্য বদলে যায়।
সিংহ: রাশিচক্রের পঞ্চম রাশি সিংহকে যে কোনও বিষয়ে হারানো মুশকিল। এঁরা সর্বদা মাঠে নামেন জেতার জন্য। এঁরা আগে থেকেই বুঝতে পারেন কোনটা এঁদের জন্য ঠিক, কোনটা বেঠিক বা ভুল। লটারির ক্ষেত্রেও কোন সংখ্যার লটারি কিনলে জেতা যাবে সেটা এঁরা কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারেন। তাঁদের এই তুখোড় বুদ্ধি লটারি জেতার পথ মসৃণ করে দেয়।
ধনু: ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সর্বদা পজ়িটিভ চিন্তাভাবনা করতে পছন্দ করেন। নেগেটিভ ভাবনাকে তাঁরা মাথায় আসতে দেন না। ধনু রাশির সেই পজ়িটিভ মনোভাবই তাঁদেরকে লটারি জিততে অনেকটা সাহায্য করে। এঁরা সর্বদা জেতার মনোভাব নিয়েই খেলেন, কখনও হেরে গেলে কী হবে সে সব ভাবনা মাথায় আনেন না। মাথা ঠান্ডা রেখে, সংখ্যা যাচাই করে পছন্দের লটারির টিকিটটি এঁরা বেছে নেন।
মীন: মীন রাশির ব্যক্তিরা যদিও কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে পছন্দ করেন, কিন্তু লটারির ব্যাপারে এঁরা অত্যন্ত বাস্তববাদী। এঁরা বুঝতে পারেন কোন সময় এঁদের লটারি খেলা উচিত হবে। সেই সময়ই এঁরা টিকিট কাটেন, বাকি সময় লটারি থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন। মীনের এই বুদ্ধিদীপ্ত চাল তাঁদের লটারিতে পয়সা খোয়ানো থেকে বাঁচায়। বেশির ভাগ সময় লটারি কেটে এঁরা লাভের মুখই দেখেন।
(লটারি কেনা ব্যক্তিগত বিষয়। এতে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আনন্দবাজার ডট কম কাউকে লটারি কেনার বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করে না।)