Rudraksha Types and Benefits

কত রকমের রুদ্রাক্ষ হয়? প্রত্যেকটির বিশেষত্ব কি আলাদা? দেবাদিদেবের প্রিয় রুদ্রাক্ষ কোনটি?

পুরাণ অনুযায়ী, দীর্ঘ তপস্যার পর শিব যখন নিজের চোখ খোলেন, তখন তার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। যেখানে তার অশ্রুবিন্দু পড়ে সেখানে একটা রুদ্রাক্ষের গাছ উৎপন্ন হয়।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৫ ১১:৩০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ভোলেবাবার অত্যন্ত প্রিয় জিনিস রুদ্রাক্ষ। শিবের বেশির ভাগ উপাসকই গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পরেন। পুরাণ অনুযায়ী, দীর্ঘ তপস্যার পর শিব যখন নিজের চোখ খোলেন, তখন তাঁর চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। যেখানে তাঁর অশ্রুবিন্দু পড়ে সেখানে একটা রুদ্রাক্ষের গাছ উৎপন্ন হয়। বলা হয়, শ্রাবণ মাসে রুদ্রাক্ষ ধারণ করা শুভ। রুদ্রাক্ষের নানা ধরন রয়েছে। মোট ১৪ ধরনের রুদ্রাক্ষ হয়। প্রত্যেকেরই নিজস্ব বিশেষত্ব রয়েছে। কোন রুদ্রাক্ষের কী উপকারিতা জেনে নিন।

Advertisement

১৪ ধরনের রুদ্রাক্ষের পৃথক পৃথক বিশেষত্বগুলি কী কী:

একমুখী রুদ্রাক্ষ: এটি শিবের প্রিয় রুদ্রাক্ষ। এটি ধারণের ফলে ধনসম্পদ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি পরার পূর্বে ‘ওম হ্রীং নম:।।’ মন্ত্রটি জপ করতে হবে।

Advertisement

দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ: দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষকে অর্ধনারীশ্বরের রুদ্রাক্ষ বলা হয়। এটি পরার ফলে মনের সকল বাসনা পূরণ হয়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের আগে ‘ওম নম:।।’ মন্ত্রটি জপ করতে হবে।

ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ: অগ্নিদেবের পছন্দের রুদ্রাক্ষ হল ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ। এটি ধারণের ফলে সকল মনোবাঞ্ছা দ্রুত পূরণ হয়। এটি পরার পূর্বে ‘ওম ক্লীং নম:’ মন্ত্রটি জপ করতে হবে।

চারমুখী রুদ্রাক্ষ: স্বয়ং ব্রহ্মার আশীর্বাদ এই রুদ্রাক্ষের সঙ্গে রয়েছে। এটি ধারণ করার ফলে মোক্ষ লাভ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। জীবন থেকে অর্থসমস্যাও দূর হয়। ‘ওম হ্রীং নম:।।’ মন্ত্রটি জপ করে এই রুদ্রাক্ষটি ধারণ করতে হয়।

পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ: জীবনের সকল সমস্যার সমাধান পেতে সাহায্য করে পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ। কালাগ্নি দেবতার পছন্দের রুদ্রাক্ষ এটি। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের পূর্বে ‘ওম হ্রীং নম:।।’ মন্ত্র জপ করতে হবে।

ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ: কার্তিকের রুদ্রাক্ষ এটি। এটি ধারণের ফলে রোজকার জীবনে করা নানা পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরার আগে ‘ওম হ্রীং হুম নম:।।’ মন্ত্রটি অবশ্যই জপ করতে হবে।

সাতমুখী রুদ্রাক্ষ: অতিরিক্ত আর্থিক ক্ষতি হয়ে গেলে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য সাতমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। ‘ওম হুম নম: মন্ত্র।।’ জপ করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।

আটমুখী রুদ্রাক্ষ: ‘ওম হুম নম:।।’ মন্ত্র জপ করে এই রুদ্রাক্ষ পরলে রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

নয়মুখী রুদ্রাক্ষ: নয়মুখী রুদ্রাক্ষকে ন’দেবীর স্বরূপ মনে করা হয়। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলে এই রুদ্রাক্ষ পরা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ‘ওম হ্রীং হুম নম:।।’ মন্ত্র জপ করতে হয়।

দশমুখী রুদ্রাক্ষ: দশমুখী রুদ্রাক্ষকে প্রভু বিষ্ণুর স্বরূপ মনে করা হয়। এটি ধারণে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ হয়। এটি পরার পূর্বে ‘ওম হ্রীং নম:।।’ মন্ত্র জপ করতে হয়।

এগারোমুখী রুদ্রাক্ষ: রুদ্রদেবের স্বরূপ এই রুদ্রাক্ষ ধারণে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করা যায় বলে বিশ্বাস। এর জন্য ‘ওম হ্রীং হুম নম:।।’ মন্ত্র জপ করা উচিত।

বারোমুখী রুদ্রাক্ষ: বারোমুখী রুদ্রাক্ষকে চুলে ধারণ করতে হয়। দেহের অন্যান্য জায়গায় এটি পরা যায় না। ‘ওম ক্রৌং ক্ষৌং রৌং নম:।।’ মন্ত্র জপ করে এই রুদ্রাক্ষ পরা উচিত।

তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ: ভাগ্যের হাল বদলাতে ‘ওম হ্রীং নম:।।’ মন্ত্র জপ করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হয়।

চোদ্দমুখী রুদ্রাক্ষ: এই রুদ্রাক্ষ ব্যক্তিকে পাপ মুক্ত করে। ‘ওম নম:।।’ মন্ত্র জপ করে এটি ধারণ করা উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement