ছবি: মেটা এআই।
চলছে শ্রাবণ মাস। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই মাসের গুরুত্ব অনেক। এই শ্রাবণেই মহাদেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। কথিত রয়েছে, শ্রাবণ মাসেই মাতা পার্বতী ও দেবাদিদেবের পুনরায় মিলন ঘটেছিল। শ্রাবণে মহাদেবের পুজো করার ফলে জীবনে নানা দিক থেকে উন্নতি লাভ করা যায়। দেবাদিদেবের উপাসনার ফলে শনির সাড়েসাতির ভয়ঙ্কর প্রভাব থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। শ্রাবণে শিবলিঙ্গে কয়েকটি জিনিস নিবেদন করলেই এবং সহজ উপায় পালনের ফলেই শনির বিষনজর থেকে বাঁচতে পারবেন। বদলে লাভ করবেন ভোলেবাবা ও শনিদেবের আশীর্বাদ।
শ্রাবণে শিব আরাধনায় কী ভাবে শনিদেবকে শান্ত করবেন?
কালো তিল: কালো তিলের সঙ্গে শনিদেবের সম্পর্ক রয়েছে। শনিদেবকে শান্ত করতে রান্নাঘরের এই উপাদান কার্যকরী। শ্রাবণের যে কোনও একটি সোমবার শিবলিঙ্গ অভিযেক করার সময় গঙ্গাজল বা দুধের মধ্যে একটু কালো তিল মিশিয়ে নিন। দারুণ ফলপ্রাপ্তি ঘটবে। শনিদেবও শান্ত হবেন, ভোলেবাবার আশীর্বাদও লাভ করবেন।
শমীপাতা: শিবলিঙ্গে শমীপাতা অর্পণ করলে শনির কুপ্রভাব থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব। মহাদেব ও শনিদেব, উভয়েরই শমীপাতা খুব প্রিয়। শ্রাবণে যে কোনও সোমবার শিবলিঙ্গে শমীপাতা নিবেদন করে দেখতে পারেন।
অপরাজিতা ফুল: শনিদেবের পছন্দের রং নীল। আবার শিবও নীল রঙের অপরাজিতা ফুল খুব পছন্দ করেন। শ্রাবণে মহাদেবকে অবশ্যই এই ফুল নিবেদন করুন। এর ফলে শিবশম্ভুর কৃপাও লাভ করবেন, আবার সাড়েসাতির ভয়ঙ্কর প্রভাব থেকেও মুক্তি পাবেন।
সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান: শ্রাবণ মাসের প্রতিটি সোমবার শিবলিঙ্গের সামনে একটি করে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। এই কাজটি করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এতে ভোলেবাবার আশীর্বাদ লাভের সঙ্গে সঙ্গে শনিদেবেরও কৃপা লাভ করবেন।