—প্রতীকী ছবি।
আমরা প্রায় সকলেই শনির সাড়েসাতির ভয়ঙ্কর প্রভাব সম্বন্ধে জানি। যে মানুষ এই দশার মধ্য দিয়ে যায়, তাঁর জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। শনি ধীর গতিসম্পন্ন গ্রহ। প্রত্যেক রাশিতে কমবেশি ২ বছর ৬ মাস অবস্থান করে। চন্দ্র রাশির দ্বাদশে, চন্দ্র রাশিতে এবং চন্দ্র রাশির দ্বিতীয়ে শনির অবস্থানের সাড়ে সাত বছর সময়কালকে শনির সাড়েসাতি বলে। সকলের ক্ষেত্রেই যে শনির সাড়েসাতি ভয়ঙ্কর প্রভাব বয়ে আনে তেমনটা নয়। অনেকে এই সময়কালে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছিয়ে যান। কিন্তু যে মানুষকে এর খারাপ প্রভাব ভোগ করতে হয়, তাঁরাই জানে এই সময়কাল কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
২৯ মার্চ ২০২৫ থেকে মীন রাশির সাড়েসাতি দশা শুরু হয়েছে। এই দশা চলবে ২০২৭ সালের ২ জুন পর্যন্ত। এই সময় যে সকল মীন রাশির ব্যক্তিদেরই খুব খারাপ কাটছে তা কিন্তু নয়। তবে হাতেগোনা কয়েক জন হলেও সাড়েসাতির কঠিন প্রভাবের মধ্যে দিয়ে এঁদের যেতে হচ্ছে। শাস্ত্র জানাচ্ছে, এই সাড়েসাতি চলাকালীন সোনা পরা উচিত নয়। সাধারণত সোনা শুভ ধাতু হিসাবেই বিবেচিত হয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি অশুভ প্রভাবও দান করে। শনির সাড়েসাতি দশা সেগুলির মধ্যেই একটি।
শনির সাড়েসাতি চলাকালীন সোনা পরা অশুভ কেন?
জ্যোতিষশাস্ত্র জানাচ্ছে যে, শনির সাড়েসাতি চলাকালীন সোনা পরা উচিত নয়। কারণ, এতে সাড়েসাতির ভয়ঙ্কর প্রভাব আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। পুরাণমতে, শনিদেব হল সূর্যদেবের পুত্র। পিতা-পুত্রের সম্পর্ক হলেও, আদতে এঁদের মধ্যে বিশেষ বনিবনা ছিল না বলে মনে করা হয়। সেই কারণে শনির সাড়েসাতি দশায় গায়ে সোনা রাখতে নিষেধ করা হয়। এতে খারাপ প্রভাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় বলে বিশ্বাস রয়েছে।
শনির সাড়েসাতি চলাকালীন কোন ধাতু পরা যেতে পারে?
শনির সাড়েসাতি দশা চললে লোহার আংটি পরা যেতে পারে। লোহা শনির ধাতু। এই ধাতু গায়ে রাখা আপনার জন্য অত্যন্ত শুভ হতে পারে বলে মনে করা হয়। এতে শনির খারাপ প্রভাব থেকে যেমন কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন। তেমনই রাহু-কেতুর বাড়বাড়ন্ত থেকেও মুক্তি মিলবে।