—প্রতীকী ছবি।
১৬ অগস্ট ২০২৫, শনিবার জন্মাষ্টমী। জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র এই জন্মতিথি জন্মাষ্টমী নামে পরিচিত। সকল হিন্দুদের কাছে এই তিথির গুরুত্ব অপরিসীম। বহু মানুষই এই দিন তাঁদের প্রিয় গোপালের পুজো করেন। তাঁকে চার প্রহরে খেতে দেন, রংবেরঙের জামা পরান। কিন্তু জানেন কি শ্রীকৃষ্ণের পছন্দের কয়েকটি রং রয়েছে। সেই সকল রঙের জামা পরালে তিনি তুষ্ট হন। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
জন্মাষ্টমীর দিন গোপালকে কোন কোন রঙের জামা পরানো শুভ?
সবুজ: সবুজ রং মনকে শান্ত ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এই রং সৌভাগ্যের প্রতীক। জন্মাষ্টমীর দিন গোপালকে অবশ্যই সবুজ রঙের জামা পরাতে হবে। জন্মাষ্টমীর দিন ভোরের দিকে গোপালকে এই রঙের পোশাক পরাতে পারেন। অন্যান্য যে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানেও গোপালকে সবুজ রঙের পোশাক পরানো যেতে পারে।
গোলাপি: প্রেম-প্রীতির প্রতীক হল গোলাপি রং। এই রঙের জামা পরালে পরিবারে সকলের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। জন্মাষ্টমীর দিন সকালের দিকে গোপালকে গোলাপি রঙের পোশাক পরাতে পারেন।
কমলা: উজ্জ্বল কমলা রং উদ্দীপনা, শক্তি ও আনন্দের প্রতীক। এই রংটি বাড়িতে পজ়িটিভ শক্তি ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। জন্মাষ্টমীর দিন দুপুরের সাজে গোপালকে কমলা রঙের পোশাক পরাতে পারেন। এতে শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হবেন।
সোনালি: সোনালি রং ধনসম্পদ ও ঐশ্বর্যের প্রতীক। এই রঙের পোশাক গোপালকে পরালে সংসারের অর্থাভাব দূর হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। জন্মাষ্টমীর দিন গোপালের সন্ধ্যার সাজে সোনালি জরির কাজ করা পোশাক রাখতে পারেন।
হলুদ: শ্রীকৃষ্ণের পছন্দের রং হল হলুদ। এই রং সুখ, সমৃদ্ধি ও জ্ঞানের প্রতীক। জন্মাষ্টমীতে গোপালের সাজে অবশ্যই হলুদ রঙের জামা রাখতে হবে। এই দিন সন্ধ্যাবেলা এই রঙের পোশাক পরাতে পারেন। এ ছাড়া অন্যান্য দিনও গোপালকে হলুদ রঙের জামা পরানো যেতে পারে। এতে শ্রীকৃষ্ণ খুশি হন।
লাল: লাল রং আমাদের মনে সাহস জোগাতে সাহায্য করে। যে কোনও দেব-দেবীর পুজোর এই রং ব্যবহার করা শুভ বলে মনে করা হয়। জন্মাষ্টমীর দিন যে কোনও সময় গোপালকে লাল রঙের পোশাক পরানো যেতে পারে।