—প্রতীকী ছবি।
প্রতি দিন সকালে উঠে সূর্যপ্রণাম করার নানা গুণ রয়েছে। মনে করা হয়, সকালবেলা স্নান করার পর সূর্যপ্রণামের মাধ্যমে দিন শুরু করলে মেজাজ ভাল থাকে সারা দিনই। এ ছাড়া, সূর্যদেবের কৃপাও সর্ব ক্ষণ সঙ্গেই থাকে। সূর্যকে ছাড়া আমাদের জীবন তথা পুরো পৃথিবী অচল। হিন্দু ধর্মে তাই সূর্যকে উপাসনা করার নানা দিক ও গুণের কথা বলা রয়েছে। তবে সূর্যকে জল দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন পাত্র ব্যবহার করা উচিত, সেটা অনেকেরই জানা নেই। সূর্যপ্রণামের সঠিক নিয়মও বহু মানুষের অজানা। আজ আলোচনা সে বিষয়েই।
সূর্যপ্রণামের ক্ষেত্রে কোন ধাতুর পাত্র ব্যবহার করতে হয়?
সূর্যপ্রণামের সঠিক নিয়ম:
১. ব্রাহ্মমুহূর্ত বা সূর্যোদয়ের সময়কাল সূর্যপ্রণাম করার জন্য শ্রেষ্ঠ সময়। সেটা সম্ভব না হলে সূর্যোদয়ের পরবর্তী এক ঘণ্টার মধ্যে সূর্যপ্রণাম করা যেতে পারে। কাজটি প্রতি দিন করতে হবে। মাঝেমধ্যে মন চাইলে করছেন, এমন করলে হবে না।
২. সূর্যপ্রণাম করার আগে স্নান করে শুদ্ধ বসন পরা আবশ্যিক। এ ক্ষেত্রে পুরুষেরা গেরুয়া বা সাদা রঙের ধুতি পরে এবং গায়ে গামছা দিয়ে সূর্যপ্রণাম করতে পারেন।
৩. তামার ঘট জলে পরিপূর্ণ করে তাতে চিনি বা মধু মেশাতে হবে। ফুল দিতে হবে উপরে।
৪. সূর্যকে সরাসরি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, এমন জায়গায় পূর্ব দিকে মুখ করে হাতে ঘট নিয়ে দাঁড়ান। তারপর দু’বাহু সোজা সূর্যের দিকে তুলে জল অর্পণ করুন। উচ্চারণ করুন সূর্যপ্রণাম মন্ত্র। তবে খেয়াল রাখতে হবে, জল ফেলার সময় তা যেন কোনও ভাবে আপনার পায়ে ছিটকে এসে না পড়ে। এতে সূর্যদেব রুষ্ট হন।
৫. সম্পূর্ণ জল অর্পণ করা হয়ে গেলে মাটি থেকে এক ফোঁটা জল আঙুলে করে নিয়ে তা নিজের কপালে ছোঁয়ান। পুনরায় মাটি থেকে আঙুলের সাহায্যে জল নিয়ে নিজের দু’চোখে লাগান। তার পর আবার জল তুলে গলায় লাগান। সূর্যপ্রণাম সম্পন্ন হয় এ ভাবেই।