—প্রতীকী ছবি।
সব মানুষেরই যেমন নানা ভাল দিক রয়েছে, তেমনই কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। কেউই শুধু ভাল বা শুধু খারাপ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে তৈরি নয়। কাঙ্ক্ষিত গুণগুলির নানা দিক যেমন আসে তাঁদের রাশি থেকে, তেমনই অনাকাঙ্ক্ষিত দিকগুলির নেপথ্যেও রয়েছে রাশির অবদান। শাস্ত্রমতে, প্রতিটি রাশিরই কিছু না কিছু খারাপ দিক রয়েছে। সেগুলি তাদের জীবনে এগিয়ে চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে। তবে সচেতন হয়ে সেই জিনিসটিকে এড়িয়ে চলাও সম্ভব। জেনে নিন আপনার রাশির খারাপ দিকটি কী।
কোন রাশির মধ্যে কী খারাপ গুণ রয়েছে?
মেষ: রাশিচক্রের প্রথম রাশি মেষ একটু অহঙ্কারী প্রকৃতির হন। এই রাশির ব্যক্তিদের দম্ভের কারণে তাঁদের নানা ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের জেদও বেশি হয়। সেটা একটা মাত্রার পরে গিয়ে তাঁদের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়ায়।
বৃষ: কাউকে সহজে ক্ষমা করতে পারেন না বৃষ রাশির ব্যক্তিরা। এক বার যদি কেউ এঁদের মন থেকে উঠে যান, তার পর আর তাঁর দিকে ফিরে তাকান না এঁরা। সেই কারণে এঁদের বহু সম্পর্কের বন্ধনই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আলগা হতে হতে শেষে গিয়ে কালের গহীনে মিলিয়ে যায়।
মিথুন: মিথুন রাশির ব্যক্তিরা কোনও একটা বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারেন না। এঁদের মনের স্থিরতা কম। ফলত কোনও কিছুই ঠিক করে শিখে উঠতে পারেন না। এটা নয় ওটা, ওটা নয় সেটা করতে করতেই এঁদের জীবন কেটে যায়।
কর্কট: কর্কট রাশির ব্যক্তিদের আবেগই তাঁদের জীবনের সকল সমস্যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এঁরা যে কোনও কিছুর বিচার মাথা দিয়ে করার বদলে, নিজের মন দিয়ে করেন। সেই কারণে এঁদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নিজের আবেগের উপর এঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
সিংহ: যে কোনও জায়গায় নেতৃত্ব ফলাতে ভালবাসেন সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা। সেটি করতে না পারলেই এঁরা রেগে যান। তখনই অপরের কাজের সমালোচনা করা শুরু করে দেন। অন্যকে ছোট করে পৈশাচিক আনন্দ পান সিংহ রাশির ব্যক্তিরা। এঁদের এই স্বভাবের জন্য এঁরা আশপাশের ব্যক্তিদের কাছে অপছন্দের হয়ে ওঠেন।
কন্যা: কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা যে কোনও জিনিস নিখুঁত ভাবে করতে চান। যে জিনিস এঁদের মনের মতো হয় না, সেটাই এঁদের কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়ে। নিখুঁত জিনিসের তাগিদে অপরকে অপমান করতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না এঁরা।
তুলা: সিদ্ধান্ত নিয়ে গিয়ে খাবি খান তুলা রাশির ব্যক্তিরা। জটিল মুহূর্ত তো দূরের কথা, কোনও সহজ সিদ্ধান্ত নিতে হলেও বার বার অন্যের সাহায্যের জন্য ছুটে যান এঁরা।
বৃশ্চিক: বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত সন্দেহপ্রবণ হন। এঁরা সর্বদা ভাবেন যে এঁদের বিরুদ্ধে কোনও চক্রান্ত করা হচ্ছে। এঁদের কাছের মানুষদের প্রতি অধিকারবোধও প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই হয়। এঁদের এই স্বভাব মাঝেমধ্যে অপরের কাছে অসহনীয় হয়ে ওঠে।
ধনু: এই রাশির ব্যক্তিদের কাছে নিজের স্বাধীনতাটা অন্য সব কিছুর চেয়ে একটু বেশিই দামি হয়। ধনু রাশির ব্যক্তিরা নিজের স্বাধীনচেতা স্বভাবের জন্য অনেক কিছুই হারিয়ে বসেন। কিন্তু তা-ও এঁরা অপরে কী বলছে সে দিকে কান পাতেন না।
মকর: শনির রাশি মকর অতিরিক্ত বাস্তববাদী হন। এঁরা চোখের সামনে যেটা দেখছেন, সেটাতেই বিশ্বাস করে বসেন। তার বাইরে গিয়ে অন্য কিছুও যে হতে পারে সে দিকে এঁরা গুরুত্বই দেন না।
কুম্ভ: মনে ঠিক কী চলছে সেটা কারও কাছে স্পষ্ট ভাবে মেলে ধরতে পারেন না কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা। সেই কারণে এঁদের জীবনে সমস্যার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু তা-ও এঁরা মনের ভাব প্রকাশ করতে কুণ্ঠাবোধ করেন।
মীন: মীন রাশির ব্যক্তিরা মকরের সম্পূর্ণ উল্টো। এঁরা বাস্তববিমুখ হন। আশপাশে কী চলছে সে বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকলেও, সেটি কাজে লাগাতে পারেন না এঁরা।