—প্রতীকী ছবি।
জ্যোতিষশাস্ত্রে পুনর্জন্মে বিশ্বাস করা হয়। হিন্দুধর্মেও এই বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। পুনর্জন্ম বলতে বোঝানো হয় আমাদের আগের জন্মের কথা। আর পুনর্জন্মের কথা উঠলেই উঠে আসে আগের জন্মে করা পাপ-পুণ্যের কথা। জীবনে খারাপ কিছু ঘটলে অনেকেই পূর্বজন্মের পাপের কথা বলেন। কথাটা নিছক মৌখিক হলেও, শাস্ত্রে এর বিশ্লেষণ বর্তমান।
জ্যোতিষশাস্ত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সংখ্যাতত্ত্ব। সংখ্যাতত্ত্বের সাহায্যে আমাদের জীবনের নানা গোপন তথ্যের হদিস পাওয়া সম্ভব। কোনও ব্যক্তিকে তাঁর অতীত জীবনের কর্মফল এই জীবনে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে কি না সেটাও সংখ্যাতত্ত্বের সাহায্যে বলে দেওয়া সম্ভব। বিশেষ কয়েকটি সংখ্যা যদি কোনও ব্যক্তির জন্মতারিখে থাকে, তা হলে উক্ত ব্যক্তির জীবনে অতীতের কর্মফল বয়ে নিয়ে চলার আশঙ্কা দেখা যায়। সেই তারিখগুলিতে জন্মানো ব্যক্তিদেরও এই প্রভাব ভোগ করতে হয়।
কোন সংখ্যা জন্মতারিখে থাকলে অতীতের কর্মফলের ভাগিদার হতে হয়?
সংখ্যাতত্ত্ব মতে, যে সকল ব্যক্তির জন্মতারিখে ১৩, ১৪, ১৬ ও ১৯, এই চারটি সংখ্যা উপস্থিত থাকে, তাঁদের অতীত জীবনের কর্মফল বর্তমান জীবনে বয়ে বেড়াতে হয় বলে জানাচ্ছে সংখ্যাতত্ত্ব।
বোঝার উপায় কী?
১৩: যে সকল ব্যক্তির জন্মতারিখে ১৩ সংখ্যা থাকে বা ১৩ তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা তাঁদের পূর্ববর্তী জীবনে নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেননি বলে মনে করা হয়। নিজের দায়িত্বকে ফাঁকি দিতে তাঁরা এমন কোনও কাজ করেছেন যার ফলে দৈবশক্তি তাঁদের প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। সেই কারণে এই জন্মে এসেও তাঁদের সেটির বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়।
লক্ষণ:
১. যে কোনও কাজে বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
২. প্রচুর পরিশ্রম করেও উপযুক্ত ফল পাওয়া যায় না।
প্রতিকার:
১. অলসতা ত্যাগ করতে হবে। নিজের সকল দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠাবান হতে হবে।
২. রাহুর প্রতিকার পালন করলে ভাল ফল পাবেন।
৩. শিবের আরাধনা করুন ও ‘ওম নমঃ শিবায়’ মন্ত্রটি পাঠ করুন।
৪. শনিবার করে শনি মন্দিরে কালো তিল ও সর্ষের তেল অর্পণ করুন।
১৪: জন্মতারিখে ১৪ সংখ্যাটি থাকা ব্যক্তিদেরও পূর্বজন্মের কর্মফল ভোগ করতে হয়। স্বাধীনতার অপব্যবহার করে এঁরা এমন কোনও কাজ করেছিল যার জন্য এঁদের ভাগ্যে এই জন্মে এসেও দুর্দশা নাচছে।
লক্ষণ:
১. হঠাৎ অর্থক্ষতি।
২. সম্পর্কে নিত্য অশান্তি লেগে থাকা।
প্রতিকার:
১. ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটুন।
২. অভাবীদের সবুজ রঙের জিনিস দান করুন।
৩. নিয়মমাফিক জীবন কাটান।
১৬: অন্যান্য সকল সংখ্যার মধ্যে জন্মতারিখে ১৬ সংখ্যাটি থাকা জাতক-জাতিকাদের পূর্বজীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কর্মফল ভোগ করতে হয় বলে জানাচ্ছে সংখ্যাতত্ত্ব। এর কারণ হল এঁদের অহংবোধ ও রাগ। এই দুই নেগেটিভ অনুভূতির ফলে এঁরা অতীতে জীবনে এমন কোনও কাজ করেছেন যা তাঁদের করা উচিত হয়নি।
লক্ষণ:
১. জীবনে শান্তি না পাওয়া।
২. সম্পর্কে টানাপড়েন লেগে থাকা।
প্রতিকার:
১. সোমবার করে উপবাস রেখে মহাদেবের আরাধনা করুন ও ‘ওম নমঃ শিবায়’ মন্ত্রটি পাঠ করুন।
২. দম্ভ ত্যাগ করুন ও মন শান্ত করার জন্য ধ্যান করুন।
১৯: পূর্বজীবনে নিজের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করার জন্য জন্মতারিখে ১৯ সংখ্যাটি থাকা জাতক-জাতিকাদের কর্মফল ভোগ করতে হয়।
লক্ষণ:
১. দরকারে কাছের মানুষকেও পাশে পান না।
২. খারাপ সময় সঙ্গ ছাড়তে চায় না।
৩. অপরকে বিশ্বাস করে ঠকতে হয়।
প্রতিকার:
১. নিয়মিত গায়ত্রীমন্ত্র পাঠ করুন।
২. বয়স্ক মানুষদের সাধ্যমতো সাহায্য করুন।
৩. প্রতি দিন সকালে সূর্যদেবকে জল অর্পণ করুন।