Manifestation Techniques

মুড়িমুড়কির মতো বাড়ছে ‘ম্যানিফেস্টেশন’-এর প্রবণতা! জিনিসটি আদতে কী? আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য কী কী উপায় মানতে হয়?

ম্যানিফেস্টেশন হল কোনও জিনিসের প্রতি নিজেকে এত গহীনে গিয়ে নিমজ্জিত করা যে দৈবশক্তিও স্বেচ্ছায় আপনাকে সেটি পাইয়ে দেন। তবে কেবল চাইলেই হবে না। শাস্ত্র জানাচ্ছে, কোনও আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য বিশেষ কিছু উপায় পালন করতে পারলে খুব ভাল হয়।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১১:৩০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

এখন লোকজনের মুখে মুখে ‘ম্যানিফেস্টেশন’-এর কথা শোনা যায়। বিশেষ করে জেন জ়িরা সব কিছুতেই এই শব্দটির বহুল ব্যবহার করে। এটি বলতে বোঝায় কোনও কিছুকে মনের গভীর দিয়ে চাওয়া। উক্ত জিনিসটির প্রতি নিজেকে এত গহীনে গিয়ে নিমজ্জিত করা যে দৈবশক্তিও স্বেচ্ছায় আপনাকে সেটি পাইয়ে দেন। তবে কেবল চাইলেই হবে না। শাস্ত্র জানাচ্ছে, কোনও আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য বিশেষ কিছু উপায় পালন করতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে ইচ্ছাপূরণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

Advertisement

কোন উপায়গুলি মানবেন?

১. লক্ষ্যস্থির করতে হবে। ম্যানিফেস্টেশন করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যস্থির রাখাটা জরুরি। না হলে কাজের কাজ হবে না। তাই আপনি কী চান সেই ব্যাপারে আগে নিজের কাছে স্বচ্ছ হন।

Advertisement

২. লক্ষ্যস্থির করার পর সেটা নিয়ে ভাবুন। মনে করুন সেটা আপনি পেয়ে গিয়েছেন। যে জীবনটা আপনি চাইছিলেন সেটা এখন আপনার হাতের মুঠোয়। এই ভাবনায় নিজেকে নিমজ্জিত করুন। এতে আপনার ইচ্ছাপূরণের শক্তি ও দৃঢ়তা বৃদ্ধি পাবে। কারণ আপনার যেটা ইচ্ছা সেটা আপনাকেই পূরণ করতে হবে। তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করাটা জরুরি।

৩. নিজের ইচ্ছা সম্বন্ধে নেগেটিভ কোনও চিন্তা মাথায় আনা যাবে না। সর্বদা পজ়িটিভ মনোভাব পোষণ করে চলতে হবে। যেটা চাইছেন, সেটা নিশ্চয়ই পাবেন, এমন ভাবনা নিয়ে চলুন।

৪. এ ক্ষেত্রে ৩-৬-৯ সম্পর্কিত একটি নিয়ম মানা হয়ে থাকে। যেটা চাইছেন সেটা সম্বন্ধে নিজের ডায়েরিতে সকালে তিন বার, বিকেলে ছয় বার এবং রাত্রে নয় বার লিখতে হবে। তা হলে আকাঙ্ক্ষা পূরণের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পায় বলে বিশ্বাস করা হয়।

৫. স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নিজের বাস্তবকে ভুলে গেলে চলবে না। অর্থাৎ, আপনার জীবন এখন যে ছন্দে চলছে সেটিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলে হবে না। জীবনের ছন্দের সঙ্গে হাসিমুখে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। জীবনের প্রতি সন্তুষ্টি আনতে হবে। তা হলেই সময়ের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হবে। সর্বদা মাথায় রাখতে হবে, কঠিন সময় কখনও স্থায়ী হয় না। সেটি সর্বদা কেটে গিয়ে ভাল সময় আসবেই।

৬. আপনার মানসিক স্থিতি যে বিষয়ে নষ্ট হচ্ছে, সেটিকে জীবন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে এমন পরিবেশ, মানুষজনের সান্নিধ্যে রাখতে হবে যাঁদের সান্নিধ্যে আপনি শান্তি পান। যাঁরা আপনাকে কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়। মানসিক ভাবে ভেঙে ফেলে এমন কিছুকে জীবনে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সব শেষে এটা মাথায় রেখে অবশ্যই চলতে হবে যে আপনি যেটা ম্যানিফেস্ট করছেন, সেটার জন্য আপনাকেই পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যদি পরিশ্রম না করেন, তা হলে কোনও দৈবশক্তিই আপনাকে সেটা পাইয়ে দিতে পারবেন না। তাই নিজেকে সে ভাবে প্রস্তুত করুন এবং ‘আমি পারি’ এই কথাটা সর্বদা নিজের মনে আওড়ে চলুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement