প্রতীকী ছবি।
অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে এরিকসনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তথ্য বিকৃত করার অভিযোগে দুই কোর্ট মাস্টারকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। প্রাক্তন দুই কোর্ট মাস্টার (যা সহকারী রেজিস্ট্রারের সমান পদ মর্যাদার) মানব শর্মা এবং তপনকুমার চক্রবর্তীকে সোমবার দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা গ্রেফতার করেছে।
আগেই অবশ্য আদালতের তথা বিচারপতির নির্দেশ ইচ্ছকৃতভাবে বিকৃত করার বিষয়টি সামনে আসার পরই এই দু’জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে সুইডিশ টেলি কমিউনিকেশন সংস্থা এরিকসনের দায়ের করা মামলায় বিচারপতি রোহিংটন ফলি নরিম্যানের নির্দেশ ছিল, রিলায়্যান্স কমিউনিকেশনস-এর কর্ণধারকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে। গত ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোডের সময় সেই নির্দেশ কার্যত পুরো উল্টো হয়ে যায়। তাতে লেখা হয়, অবমাননাকারী হিসেবে অভিযুক্তকে পরবর্তী শুনানিতে ‘সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার প্রয়োজন নেই’।
আরও পড়ুন: জাতীয়তাবাদ আর সুশাসনের মন্ত্র শোনালেন মোদী, বিজেপির ইস্তাহারে ফের রামমন্দির
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিষয়টি চোখে পড়ার পরই কার্যত হতভম্ব হয়ে যান এরিকসনের আইনজীবীরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম আইনজীবী দুশ্মন্ত দাভে বিচারপতি নরিম্যানের গোচরে আনেন বিষয়টি। ১০ জানুয়ারির মধ্যে সঠিক নির্দেশ ওয়েবসাইটে আপলোডের নির্দেশ দেন বিচারপতি নরিম্যান। একইসঙ্গে তিনি তদন্তের পক্ষেও সওয়াল করেন। তদন্তে সায় দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ওই দিনই নিজের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে দুই কোর্ট মাস্টারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন প্রধান বিচারপতি।