টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করলেন করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রদীপ রঞ্জন কর।
ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বারইগ্রামের অজিত দাস পলাতক। আত্মগোপন করেছেন তার স্ত্রীও। ওই মহিলাই অভিযোগকারী সমীরণ দেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। দু’দিনের মধ্যে অজিত দাস স্বেচ্ছায় এসে ঘটনার জবানবন্দি না দিলে, মিথ্যা মামলা করার জন্য তার স্ত্রীকেও গ্রেফতার করবে পুলিশ।
ব্যবসা ভাল চলছে না দেখে জায়গা বিক্রি করে ত্রিপুরায় ফিরছিলেন সমীরণবা বু। তাঁর অভিযোগ, মাঝরাস্তায় বারইগ্রামের অজিত দাসের সঙ্গে পাথারকান্দির একটি হোটেলে তিনি দেখা করেন। পাথারকান্দি থানায় পুলিশ কনস্টেবল জয়দীপ পাল, সায়েদ আহমেদ, সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে সমীরণবাবু জানান, অজিত দাস ওই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ছক কষে জলের সঙ্গে তাঁকে মাদক খাইয়ে দিয়েছিল। বেহুঁশ হতেই তারা টাকা নিয়ে পালায়। পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। ৩ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু টাকা সঙ্গে নিয়ে সমীরণবাবু কেন হোটেলে গিয়েছিলেন সেই জট এখনও খুলতে পারেনি পুলিশ। মামলার পর আত্মগোপন করে অজিত।