—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পোষা কুকুর কামড়ালে, তার দায় মালিকের। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হবে এফআইআরও!
পোষ্যদের জন্য নয়া নিয়মবিধি চালু করল দেহরাদূন পুরসভা। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে পোষা কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সেই বিষয় বিবেচনা করে পুরসভা ‘দেহরাদূন ডগ লাইসেন্সিং বাইলজস ২০২৫’-এর অধীনে পোষা কুকুরদের জন্য কিছু নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছে। জানানো হয়েছে, যদি কোনও পোষা কুকুর কাউকে কামড়ায়, তবে তার মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ওই কুকুরটির হতে পারে ‘হাজতবাসও’। অর্থাৎ, তাকে তুলেও নিয়ে যেতে পারে পুরসভা।
নিয়ম অনুযায়ী, তিন মাসের বেশি বয়সি কুকুরের জন্য লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই লাইসেন্স নথিভুক্তকরণের দিন থেকে এক বছর বৈধ থাকবে। তার পরে আবার নবীকরণ করতে হবে মালিককে। তবে নথিভুক্তকরণের সময় অবশ্যই কোনও পশু চিকিৎসকের দেওয়া জলাতঙ্করোধী টিকার শংসাপত্র জমা করতে হবে তাঁদের।
উল্লেখ্য, এই ধরনের নিয়ম রয়েছে উত্তরপ্রদেশেও। তবে সেটা পথকুকুরদের জন্য। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘বিনা প্ররোচনায়’ কোনও কুকুর যদি মানুষকে কামড়ায়, সেই কুকুরের ১০ দিনের ‘হাজতবাস’ হবে। মানে ১০ দিন তাকে কোনও পশুকেন্দ্রে আটকে রাখা হবে। একই দোষ দু’বার করলে? একেবারে আজীবন বন্দি! দু’বার কামড়ে ‘আজীবন সাজাপ্রাপ্ত’ কোনও কুকুরকে যদি কেউ পোষ্য করতে চান, তাঁকে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। বাড়ির ঠিকানা, নাম-পরিচয় ইত্যাদি জমা থাকবে প্রশাসনের কাছে।
পথকুকুরদের ঠাঁই হবে কোথায়? দিল্লির প্রেক্ষিতে এ-প্রশ্ন উঠেছিল শীর্ষ আদালতে। গত জুলাই থেকে চলছিল মামলা। পরে এ মামলায় সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও যোগ করা হয়। শেষ শুনানিতে স্কুল, রেলস্টেশন, হাসপাতাল চত্বর থেকে পথকুকুরদের সরানোরই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এ বার পোষা কুকুরদের জন্য বিধি বাঁধল দেহরাদূন পুরসভা।