AAP

বিধানসভায় তাড়া তাড়া নোট নিয়ে হাজির আপ বিধায়ক, বললেন, ‘ঘুষ দিচ্ছে, বাঁচান!’

আপ বিধায়ক মহিন্দর গয়াল একটি সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগ করেন। দাবি করেন, সেই দুর্নীতিতে তাঁকেও টেনে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে। এ জন্য ঘুষ হিসাবে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫৯
Share:

হাতের টাকা, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ করছেন আপ বিধায়ক। ছবি: সংগৃহীত।

নোটের বান্ডিল তুলে ধরে আপ বিধায়কের দাবি, তাঁকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দুর্নীতিতে সঙ্গ না দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে। দিল্লি বিধানসভায় এ নিয়েই তোলপাড়। স্পিকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুতর আখ্যা দিয়ে পিটিশন কমিটির কাছে পাঠিয়েছেন।

Advertisement

নয়াদিল্লির রিথালার বিধায়ক মহিন্দর গয়াল। বুধবার, তিনি দিল্লি বিধানসভায় হইচই ফেলে দেন। একটি সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগ করেন তিনি। দাবি করেন, সেই দুর্নীতিতে তাঁকেও টেনে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে। ঘুষ হিসাবে তাঁকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও টাকা দেওয়া হবে তাঁকে। মহিন্দরের দাবি, রোহিণী এলাকার ডক্টর বাবাসাহেব অম্বেডকর হাসপাতালে নার্সিং কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি চলছে। তাঁর আরও দাবি, এই কাজ যাতে সুচারু ভাবে সেরে ফেলা যায় সে জন্য তাঁকেও ঘুষ দিয়ে চক্রে শামিল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সময়ই হাতে কয়েক বান্ডিল নোট তুলে ধরে তিনি দেখান।

তিনি বলেন, ‘‘যে টাকা আমি আপনাদের দেখালাম, সেটা আমাকে ঘুষ হিসাবে দেওয়া হয়েছে। আমাকে ওরা বলেছে, এখন তিন লক্ষ রাখুন। এটা টোকেন। পরে আরও দেওয়া হবে। আমি এই দুর্নীতির কথা ৫ জানুয়ারি থেকে বলে যাচ্ছি। আমি ডিসিপিকে বলেছি। মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি। এমনকি, এলজিকেও (লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা) জানিয়েছি। কিন্তু কেউ কিছু করেননি। ভাবতে পারেন, ডিসিপিকে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি!’’ তার পর মহিন্দর বলেন, ‘‘আমার শেষ আশা বিধানসভা। আশা করি, দিল্লি বিধানসভা আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

Advertisement

বাবাসাহেব অম্বেডকর হাসপাতালে ঠিকা কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ করতে গিয়ে বুধবার দিল্লি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিধায়ক আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এর পিছনে প্রভাবশালী ক্ষমতাবানেরা রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই ক্ষমতাবানেরা আমাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমি খুব বিপদের মধ্যে আছি। আমাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হোক।’’

স্পিকার বিষয়টি শোনার পর একে অত্যন্ত গুরুতর বলে অভিহিত করেন। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি বিষয়টি বিধানসভার পিটিশন কমিটির কাছে পাঠিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন