Finance Ministry Official Death

দুর্ঘটনার সময় ধৃত বিএমডব্লিউ-র চালক মত্ত ছিলেন না! অর্থ মন্ত্রকের সচিবের মৃত্যুর তদন্তে জানাল পুলিশ

দিল্লির রাস্তায় বাইকে ধাক্কা দিয়েছিল বিএমডব্লিউ গাড়ি। বাইকে অর্থ মন্ত্রকের সচিব নভজ্যোত সিংহ ছাড়াও ছিলেন তাঁর স্ত্রী সন্দীপ। আহত হন তিনিও। অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর পরই আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ১৯ কিলোমিটার দূরে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:২৩
Share:

(বাঁ দিক থেকে) ধৃত গগনপ্রীত কৌর এবং সস্ত্রীক নভজ্যোত সিংহ (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিল্লির বিএমডব্লিউ কাণ্ডে ধৃত চালক গগনপ্রীত কৌরের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষায় জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার সময় তিনি মত্ত ছিলেন না। দুর্ঘটনায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সচিব নভজ্যোত সিংহের মৃত্যুর তদন্তে মঙ্গলবার এমনই জানাল দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

দিল্লির রাস্তায় বাইকে ধাক্কা দিয়েছিল বিএমডব্লিউ গাড়ি। বাইকে নভজ্যোত ছাড়াও ছিলেন তাঁর স্ত্রী সন্দীপ। আহত হন তিনিও। অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর পরই আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ১৯ কিলোমিটার দূরে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, সেই হাসপাতাল অভিযুক্ত গগনপ্রীতের বাবার। সন্দীপের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গগনপ্রীতকে গ্রেফতার করে। সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক দু’দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

রবিবার রাতে বাংলাসাহিব গুরুদ্বার থেকে বাইকে চেপে ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের কাছে তাঁদের বাইকে ধাক্কা দেয় বিএমডব্লিউ গাড়িটি। মৃতের স্ত্রী সন্দীপের অভিযোগ, বাইকটিকে কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় তাতে ধাক্কা দেয় গাড়িটি। সে সময় চালকের আসনে বসেছিলেন ৩৮ বছরের গগনপ্রীত। পাশে বসেছিলেন তাঁর স্বামী পরীক্ষিত মাক্কড়। পুলিশের খাতায় গগনপ্রীত ছাড়াও নাম রয়েছে পরীক্ষিতের। তবে তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

Advertisement

দুর্ঘটনার পরে একটি গাড়ির চালক সাহায্যের জন্য ছুটে আসেন। সেই গাড়িতে চাপিয়ে নভজ্যোত এবং সন্দীপকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িটিতে আহতদের সঙ্গে উঠেছিলেন ঘাতক গাড়ির চালক গগনপ্রীত। সন্দীপ পুলিশকে জানিয়েছেন, কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বার বার গগনপ্রীতকে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি কান দেননি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে জিটিবি রোডের এক হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। সাহায্যকারী ওই চালকের নাম গুলফাম। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই এলাকা তেমন ভাবে চিনতেন না। তাই তাঁকে যেখানে যেতে বলা হয়েছিল, তিনি সেখানেই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান। হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকেরা নভজ্যোতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement