‘নির্মলা’ নন, অর্থমন্ত্রীকে ‘নির্বলা’ বলে বিতর্কে অধীর

দ্বিতীয় বিতর্ক বাধালেন অধীর। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ‘নির্বলা’ বলে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩১
Share:

ছবি: পিটিআই।

নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে বিতর্ক বাধিয়েছিলেন গত কালই। অধীর চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে সংসদেও আজ হইচই হল। এর মধ্যেই দ্বিতীয় বিতর্ক বাধালেন অধীর। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ‘নির্বলা’ বলে।

Advertisement

অমিত শাহ আগেই ঘোষণা করেছেন, গোটা দেশে চালু হবে নাগরিকপঞ্জি। সেটি হলে ‘জাঠ-গুজ্জর অধ্যুষিত’ দিল্লির বাসিন্দারা বাংলার লোককে বলতে পারে ‘বহিরাগত’, ‘অনুপ্রবেশকারী’। সেই যুক্তিতে অধীরের দাবি, গুজরাত থেকে আসা মোদী-শাহকেও ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলতে পারেন কেউ। অধীরের বক্তব্য, তাঁর বাবা-মায়ের জন্ম পূর্ববঙ্গে। লালকৃষ্ণ আডবাণী-মনমোহন সিংহের অধুনা পাকিস্তানে। অনেকের কাছেই জন্মের নথি থাকে না। বিশেষ করে গরিবদের। ফলে সকলকে কী করে অনুপ্রবেশকারী বলা যায়?

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব সংশোধনীর বিরোধিতা করবে তৃণমূল

Advertisement

মোদী-শাহকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলায় আজ আটঘাঁট বেধেই এসেছিল বিজেপি। অধীরকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলে তারা। বিজেপি সনিয়া গাঁধীর উদ্দেশে বলে, ইটালি থেকে আসা কংগ্রেস সভানেত্রীও অনুপ্রবেশকারী। তিনি ১৮ বছর নাগরিকত্ব নেননি।... অধীর ক্ষমা চাননি। উল্টে বলেন, ‘‘আমার নেত্রী অনুপ্রবেশকারী হলে, আপনাদের নেতারাও।’’ সেই বিতর্কের রেশ না মিটতেই কর আইনের সংশোধন নিয়ে আলোচনায় অর্থমন্ত্রীকে ‘নির্বলা’ বলেন অধীর। জবাব দেন নির্মলাও। বলেন, ‘‘আমরা সকলেই সবলা।’’ অধীরের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘আপনাকে সম্মান করি। কিন্তু আপনি যা বলতে চান, তা বলতে পারেন না। কেউ শিখিয়ে দেন।’’ বিজেপির কথা, অধীরের চিকিৎসা প্রয়োজন।

অধীরের মন্তব্য নিয়ে বিরক্ত কংগ্রেসেরই একাংশ। সংসদেও তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেননি দলের কোনও সাংসদ। বরং কংগ্রেসের কয়েকজন সাংসদ সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে যুক্তি দেন, এমন মন্তব্য করলে আসল বিতর্ক থেকে নজর ঘুরে যায়। তাতে বিজেপিরই হাত শক্ত হয়। তারা আসল বিষয় ছেড়ে এ সব নিয়েই হইচই করে ব্যস্ত রাখতে পারে। অধীর কী তা হলে বিজেপির হাত শক্ত করতে চাইছেন? অধীর শিবিরের অবশ্য দাবি, তাঁর পিছনে দলের নেতৃত্বের সমর্থন রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন