Agnipath Scheme

Agnipath' scheme: অগ্নি-বিক্ষোভ: যাঁরা আগুন লাগান, সেনায় জায়গা নেই তাঁদের, বার্তা সেনাকর্তা অনিলের

গোটা দেশ জুড়ে এক ডজনেরও বেশি ট্রেন, স্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২২ ২০:১১
Share:

বিক্ষোভকারীদের কড়া বার্তা সেনাকর্তার

কেন্দ্রের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘিরে বিক্ষোভ চতুর্থ দিনেও হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই এক ডজনেরও বেশি ট্রেন, স্টেশন জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি। তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগকারীদের ভারতীয় সেনায় কোনও জায়গা নেই।

Advertisement

সেনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের এই প্রকল্প নিয়ে দেশ জোড়া বিক্ষোভের মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই নিয়মে বেশ কিছু বদল এনেছে কেন্দ্র। যদিও তাতে বিক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। উল্টে শনিবার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে বিহারের তারেগনায়। এই আবহে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রের সামরিক বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত সচিব অনিল বলেন, ‘‘যাঁরা আগুন লাগান, যাঁরা বিশৃঙ্খল, তাঁদের কোনও জায়গা নেই সেনায়।’’

প্রতিরক্ষা খাতে খরচ কমানো নয়, সশস্ত্র বাহিনীর গড় বয়স কমিয়ে আনাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য বলে জানালেন অনিল। তাঁর দাবি, এতে সেনাদের কার্যকারিতা বাড়বে। সেনাকর্তার কথায়, ‘‘বরং, 'অগ্নিবীর' (অগ্নিপথ প্রকল্পে যাঁদের নিয়োগ করা হবে)-দের জন্য খরচ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে। কিন্তু এর জন্য ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের গড় বয়স ২৬ বছর হবে।’’ প্রসঙ্গত, এখন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের গড় বয়স ৩২।

Advertisement

অনিলের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান ভিআর চৌধুরি। হিংসাত্মক আন্দোলনে যাঁরা জড়িয়ে পড়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যতে চাকরি পেতে সমস্যা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এই ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা করছি। এটা সমাধানের পথ নয়। সেনায় চাকরি পাওয়ার শেষ ধাপ হল পুলিশি যাচাই (পুলিশ ভেরিফিকেশন)। সেখানে এই আন্দোলনকারীরা ছাড়পত্র না-ও পেতে পারেন।’’

এয়ার চিফ মার্শাল চৌধুরি অগ্নিপথ প্রকল্পকে একটি সদর্থক পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করছেন। তাঁর মতে, যে সমস্ত তরুণের এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন আছে, তাঁরা নিকটবর্তী সেনা ছাউনি, বায়ুসেনা ঘাঁটি বা নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে যেতে পারেন। সেখানেই তাঁরা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাবেন। বায়ুসেনা প্রধান মনে করছেন, আন্দোলনকারী তরুণরা প্রকল্প সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন না। অর্ধেক জেনেই তাঁরা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। পুরো প্রকল্পটি তাঁরা বুঝতে পারলে এ নিয়ে পথে নামবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন