Shanghai Cooperation Organisation

‘চিনের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি চায় ভারত’, আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে জাপানে গিয়ে বললেন মোদী

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এ বারের এসসিও বৈঠকে ‘রাশিয়া-ভারত-চিন ত্রিশক্তি জোট’ বা ‘রিক ট্রয়িকা’ (রাশিয়া-ইন্ডিয়া-চায়না ট্রয়িকা) বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। যা আমেরিকাকে চাপে ফেলতে পারে

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৫ ২০:৩২
Share:

(বাঁদিকে) শি জিনপিং এবং নরেন্দ্র মোদী (ডানদিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিবিড় করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাত বছর পর আবার চিন সফরে যাওয়ার প্রস্তুতিপর্বে এ কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য এশিয়ার দুই বৃহৎ শক্তির মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’

Advertisement

আগামী রবি ও সোমবার (৩১ অগস্ট-১ সেপ্টেম্বর) চিনের বন্দর শহর তিয়ানজ়িনে ‘সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা’ (সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশন বা এসসিও)-র শীর্ষবৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩১ অগস্ট চিনা প্রেসিডেন্ট শি জ়িনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা। তার আগে শুক্রবার দু’দিনের সফরে জাপানে গিয়েছেন তিনি। সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি চায় দিল্লি।’’

এর আগে এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীদের পৃথক সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। প্রথমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, উভয়েই সেই সম্মেলনের জন্য চিন সফরে গিয়েছিলেন। এ বার শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। জিনপিঙের পাশাপাশি তিয়ানজ়িনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি, এসসিওর বৈঠকে মধ্য, পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মিলিয়ে মোট ২০ জনের বেশি রাষ্ট্রনেতা যোগ দেবেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র দু’জনকে ব্যক্তিগত ভাবে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন জিনপিং। তাঁরা হলেন, মোদী এবং পুতিন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিন সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে দফায় দফায় আলোচনার পরে গত অক্টোবর থেকে বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ‘শুল্কবাণ’ নিয়ে টানাপড়েনের আবহে ভারত-চিন সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement