Maharashtra

‘আইনশৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্যে নয়, তবে...’! মহিলা আইপিএস-কে হুমকির অভিযোগে সাফাই অজিতের

গত ৩১ অগস্ট সোলাপুরের করমালা এলাকার কুর্দু গ্রামের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। সেই রাস্তা নির্মাণের জন্য অবৈধ ভাবে মাটি খনন করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ উঠেছিল। খনন বন্ধ করতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের রোষের মুখে পড়েছিলেন মহিলা আইপিএস আধিকারিক অঞ্জনা কৃষ্ণা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৭
Share:

মহিলা আইপিএস আধিকারিকের সঙ্গে বাদানুবাদ বিতর্কে মুখ খুললেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। — ফাইল চিত্র।

আইনশৃঙ্খলায় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের কাজে হস্তক্ষেপ করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তবে পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ হয়ে না যায় এবং শান্ত হয়, সেই কারণেই মহিলা আইপিএস অফিসারকে ফোন করেছিলেন। বিতর্ক শুরু হতেই নিজের কাজের সাফাই দিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার।

Advertisement

সোলাপুরে অবৈধ মাটি খনন বন্ধ করতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়েছিলেন মহিলা আইপিএস আধিকারিক অঞ্জনা কৃষ্ণা। দু’মিনিটের একটি ভিডিয়ো (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে। প্রশ্ন ওঠে অজিতের ভূমিকা নিয়েও। তবে এ বার সেই কথোপকথন নিয়ে মুখ খুললেন অজিত। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ বাহিনীর প্রতি আমার সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। সোলাপুরে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে আমার কথোপকথনের কিছু ভিডিয়ো ছড়ানো হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপ করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ হয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম।’’ অজিত আরও বলেন, ‘‘আমি সর্বোপরি আইনের শাসনকে মূল্য দিই। আমি স্বচ্ছ শাসনব্যবস্থা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।’’

উল্লেখ্য, গত ৩১ অগস্ট সোলাপুরের করমালা এলাকার কুর্দু গ্রামের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। সেই রাস্তা নির্মাণের জন্য অবৈধ ভাবে মাটি খনন করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ পেয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে অঞ্জনা খননের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তার পরেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তাঁর নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ হস্তক্ষেপ করতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ায় পুলিশ।

Advertisement

দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডার মধ্যে স্থানীয় এনসিপি নেতা জগতাপ যাদব ফোন করেন অজিতকে। পুরো বিষয়টি জানান তাঁকে। তার পরেই অজিত কথা বলতে চান অঞ্জনার সঙ্গে। ঘটনাটির ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। ফোনের ও পার থেকে নিজেকে অজিত পওয়ারের পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি পুলিশকে পদক্ষেপ করতে নিষেধ করেন। তবে কথোপকথন সেখানেই শেষ নয়। অঞ্জনা জানান, তিনি অজিতের কথা স্পষ্ট বুঝতে পারছেন না। শুধু তা-ই নয়, ফোনের ও পারে ব্যক্তি যে অজিত পওয়ার কথা বলছেন, তা-ও বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর।

অঞ্জনার কথায় রেগে যান ফোনের ও পারে থাকা ওই ব্যক্তি। পাল্টা হুঁশিয়ারির সুরে ওই মহিলা আইপিএস আধিকারিককে বলেন, ‘‘আমি আপনার সঙ্গে কথা বলছি, আর আপনি আমাকে সরাসরি ফোন করার কথা বলছেন? আমি তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তুমি আমাকে দেখতে চাও? আশা করি তুমি আমার মুখ চেনো।’’ অঞ্জনার ‘স্পর্ধা’ নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয়। পরে ভিডিয়ো কলে ওই মহিলা আইপিএস আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয় অজিতের। এই ফোনালাপ নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই মুখ খুললেন অজিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement