গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। —ফাইল চিত্র।
গুজরাতে বিধানসভা ভোটের আগে ‘প্রথা’ মেনেই মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজার কাজ শুরু করে দিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার সে রাজ্যের ১৬ জন মন্ত্রীই (আট জন পূর্ণমন্ত্রী এবং আট জন প্রতিমন্ত্রী) মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্র্রী ভূপেন্দ্র পটেলের ‘ভবিষ্যৎ’ ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, এ যাত্রা তাঁর গদি অক্ষত থাকারই সম্ভাবনা। প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিআর পাতিলকে সরিয়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর নেতা জগদীশ বিশ্বকর্মাকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে এ বার রাজ্য মন্ত্রিসভার খোলনলচে আমূল বদলানো হবে বলে বিজেপি একটি সূত্র জানাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী গান্ধীনগরে শপথ নিতে পারে নতুন মন্ত্রিসভা।
২০১৪-র মে মাসে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁর উত্তরসূরি মনোনীত হয়েছিলেন আনন্দীবেন পটেল। কিন্তু ২০১৬-র অগস্টে ‘শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশে’ ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিজয় রূপাণী। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে তুল্যমূল্য লড়াইয়ে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ‘দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে’ ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। জৈন সম্প্রদায়ের নেতা রূপাণীর বদলে প্রভাবশালী পটেল জনগোষ্ঠীর ভূপেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রিসভার খোলনলচে বদলে ফেলে ২০২২ সালের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়েছিল বিজেপি। ২০২৭ সালের শেষপর্বে গুজরাতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। এ বার আগেভাগেই ‘ঘর গুছোনোর কাজ শুরু করল বিজেপি। এ বার গদি বাঁচলেও এক বছর পরে ভূপেন্দ্রের ‘ভবিষ্যৎ’ কী হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা।