গুজরাতের হস্টেলে ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
গুজরাতের জুনাগড়ে এক স্কুলের হস্টেলে দুই ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল সহপাঠীদের বিরুদ্ধে। একই স্কুলের হস্টেলের দু’টি পৃথক ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার পড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আক্রান্ত এবং অভিযুক্তেরা সকলেই নাবালক। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, দু’টি ঘটনাই ঘটেছিল গত মাসে। কিন্তু আক্রান্ত ছাত্রেরা বাড়িতে কিছু জানাননি। স্কুল কর্তৃপক্ষও বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর ওই দুই মারধরের ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্ক দানা বাঁধে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সম্প্রতি গুজরাতের অহমদাবাদের এক স্কুলে ছাত্রখুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল পশ্চিমের এই রাজ্যটি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এরই মধ্যে জুনাগড়ের স্কুলের হস্টেলের দু’টি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠে গেল। দুই ছাত্রেরই পরিবারের অভিযোগ, স্কুল এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যদিও কর্তৃপক্ষে দাবি, তাঁদের কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগও আসেনি।
তবে ভিডিয়োগুলি প্রকাশ্যে আসার পরে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ৩৮ সেকেন্ডের একটি ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, দু’জন ছাত্র মিলে এক ছাত্রকে মারধর করছে। প্রথমে বিছানায় ফেলে মারধর করা হচ্ছিল। তার পরে পড়ুয়াকে তুলে একটি আলমারির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরে সেখানে আবার মারধর করা হয়। ৮০ সেকেন্ডের অপর একটি ভিডিয়োতেও দেখা যাচ্ছে হস্টেলের অপর এক ছাত্রকে মারধর করা হচ্ছে। ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে দু’জন মিলে এক ছাত্রকে মারধর করে যাচ্ছে। আক্রান্ত ছাত্র হাত দিয়ে মাথা ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে আরও এক পড়ুয়াকে দেখা যাচ্ছে ওই ছাত্রকে চড় এবং লাথি মারতে।
কী কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সূত্রের দাবি, দু’টি ঘটনাটই একই দিনে ঘটে থাকতে পারে। এ বিষয়ে জুনাগড়ের পুলিশ সুপার সুবোধ ওদেদার জানান, ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, "হস্টেল চত্বর থেকে আরও এই ধরণের ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। অনুসন্ধানের পরে তাঁর কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। তার পরে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।”