বদনাম ঘোচাতে অমিত দ্বারস্থ সংখ্যালঘুদের

‘বন্দেমাতরম’-এর শেষ লাইন শেষ হওয়ার আগেই ধপ করে বসে পড়লেন অমিত শাহ। বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে মাইকের নীচে বিজেপির পোস্টারও গেল খুলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০৩
Share:

—ছবি পিটিআই।

‘বন্দেমাতরম’-এর শেষ লাইন শেষ হওয়ার আগেই ধপ করে বসে পড়লেন অমিত শাহ। বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে মাইকের নীচে বিজেপির পোস্টারও গেল খুলে।

Advertisement

দিল্লিতে দলের সংখ্যালঘু মোর্চার সম্মেলনে গিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। যে বিজেপি নেতারা ঘরোয়া মহলে তো বটেই, কয়েক বার মুখ ফস্কে প্রকাশ্যেও বলে ফেলেছেন যে— মুসলমানদের ভোট তাঁরা প্রত্যাশা করেন না। এবং সে কারণে তাঁদের প্রার্থীও করা হয় না। প্রধানমন্ত্রী মুখে যতই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগান তুলুন, বাস্তব ভিন্ন।

কথাটা আজ অস্বীকার করলেন না অমিত শাহ নিজেও। বরং এ নিয়ে দলের ‘বদনাম’ ঘোচাতে সংখ্যালঘুদেরই এগিয়ে আসার আর্জি জানালেন। বিজেপি সভাপতি বললেন, ‘‘একটি হাওয়া তৈরি করা হয়— বিজেপি এলে কী হবে? বলা হয়, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের ঐতিহ্য বজায় রাখতে পারবেন না। এই অপপ্রচার বন্ধ করতে সংখ্যালঘু মোর্চাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। ঘরে ঘরে গিয়ে বিজেপির কথা বোঝান। ১৬টি রাজ্যে বিজেপির সরকার আসার পরে একটিও বড় দাঙ্গা হয়নি!’’ তাঁর দাবি, কংগ্রেস যত ক্ষমতা থেকে সরেছে, ততই দাঙ্গা কমেছে।

Advertisement

কংগ্রেসের পাল্টা প্রশ্ন, দাঙ্গার আবার ছোট-বড় কী? বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতেই তো একের পর এক সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। অমিত যদিও কংগ্রেসকেই দুষেছেন আজ। প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘যাঁরা এত দিন বলতেন, ‘সংখ্যালঘুরাই ভারতের সম্পদের প্রথম অধিকার পাবেন’, তাঁরা সংখ্যালঘুদের এত পিছিয়ে রেখেছেন কেন? শুধু ভোটব্যাঙ্ক ভেবে তোষণের রাজনীতি করতে?’’ বরং নরেন্দ্র মোদীই জাত-ধর্ম বিচার না-করে সকলের উন্নয়ন করেছেন বলে দাবি বিজেপি সভাপতির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন