Andhra Pradesh

Andhra Pradesh: মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সংগঠন? অন্ধ্রে এ বার ‘কামরাজ পরিকল্পনা’ অনুসরণ মুখ্যমন্ত্রী জগনের

ওয়াইএসআর কংগ্রেস জানিয়েছে, ২০২৪-এর অন্ধ্র বিধানসভা-লোকসভা ভোটকে নজরে রেখে সরকার এবং সংগঠনে রদবদল করতে চান মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অমরাবতী শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২২ ২০:২৮
Share:

জগন্মোহন রেড্ডি। —ফাইল চিত্র।

কামরাজ পরিকল্পনা ২.০। বৃহস্পতিবারের বারবেলায় অন্ধ্রপ্রদেশের ২৪ জন মন্ত্রী এক সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির কাছে পদত্যাগপত্র পেশের ঘটনায় ছ’দশকের পুরনো জওহরলাল নেহরু জমানার ছায়া দেখছেন অনেকেই। তাঁরা বলছেন, ১৯৬৩ সালে ‘কামরাজ পরিকল্পনায়’ অনেকটা এ রকমই হয়েছিল। মন্ত্রিসভা এবং সাংগঠনিক দায়িত্বে রদবদলের উদ্দেশে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি কামরাজের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রী নেহরুর কাছে ইস্তফা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সব সদস্য।

অন্ধ্রের ক্ষমতাসীন দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪-এর অন্ধ্র বিধানসভা ও লোকসভা ভোটকে নজরে রেখে সরকার এবং সংগঠনে রদবদল করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই দলের সিদ্ধান্তে সব মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। বস্তুত, গত ডিসেম্বরের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান জগন তাঁর টিম-এ রদবদলে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে তা সাময়িক ভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

বুধবার রাতে অন্ধ্রের রাজ্যপাল বিশ্বভূষণ হরিচন্দনের সঙ্গে দেখা করে জগন জানিয়েছিলেন তাঁর পুরো মন্ত্রিসভাই ইস্তফা দেবে। রাজভবন সূত্রের খবর, শুক্র বা শনিবার নতুন মন্ত্রীদের তালিকা রাজ্যপালকে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার শপথ নিতে পারেন নতুন মন্ত্রীরা। নয়া মন্ত্রিসভায় তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়বে বলে শাসকদলের একটি সূত্র জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জোড়া নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে ইতিমধ্যেই এক দফা প্রশাসনিক রদবদল করেছেন জগন। পাশাপাশি প্রশাসনকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিতে ওই রাজ্যে জেলার সংখ্যা ১৩ থেকে বাড়িয়ে ২৬ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, অন্ধ্রের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির ছেলে জগন ২০১১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস গড়েছিলেন। ২০১৯-এ বিধানসভা ভোটে চন্দ্রবাবুর নায়ডুর দল তেলুগু দেশমকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেন তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন