Nepalese Student Death

তিন মাসে দ্বিতীয় বার! ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের মৃত্যু নেপালি ছাত্রীর, হস্টেল থেকে মিলল দেহ

ওড়িশায় কলিঙ্গ শিল্পপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের এক নেপালি পড়ুয়ার মৃত্যু হল। হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তরুণীর দেহ। গত তিন মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার একই ঘটনা ঘটল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৫ ১০:৪৭
Share:

ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে উদ্ধার নেপালি ছাত্রীর দেহ। — প্রতীকী চিত্র।

ওড়িশার কলিঙ্গ শিল্পপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কেআইআইটি) ফের মৃত্যু হল এক নেপালি পড়ুয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ঘর থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ওই ছাত্রী কম্পিউটার বিজ্ঞান শাখার স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। এই নিয়ে গত তিন মাসে দ্বিতীয় নেপালি পড়ুয়ার মৃত্যু হল কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। কী কারণে ওই তরুণীর মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হস্টেলের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তরুণীর দেহটি উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

মৃত তরুণীর বাড়ি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দূরে বীরগঞ্জ এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ স্থানীয় থানায় ওই ঘটনার খবর যায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং দেহটি উদ্ধার করে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দলও ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। যদিও ভূবনেশ্বর-কটক এলাকার পুলিশ কমিশনার সুরেশদেব দত্ত সিংহ জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। তবে ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সব দিক খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে হস্টেল থেকে দেহ উদ্ধারের পর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত তিন মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কোনও নেপালি পড়ুয়ার মৃত্যু হল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। দু’টি ঘটনাই প্রায় একই রকম। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তৃতীয় বর্ষের এক নেপালি ছাত্রীর দেহ। ওই ঘটনার পরে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল নেপালি পড়ুয়াদের। পরে ওই ঘটনার তদন্তে উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দফতরে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তবে ওই অভিযোগ পাওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করেনি, এমনও জানা গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়াতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিশ। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement