গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বিহারের আসন্ন বিধানসভা ভোটে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধনে’ শামিল হতে চায় মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এ বিষয়ে বার্তা দিয়েছে। দলের বিহার রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক আখতারউল ইমান বৃহস্পতিবার ‘দ্য প্রিন্ট’-কে বলেছেন, ‘‘ধর্মনিরপেক্ষ ভোটের বিভাজন এড়াতে আমরা মহাগঠবন্ধনের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে চাই। বল এখন তাদের কোর্টে।’’
২০২০ সালের বিহার বিধানসভা ভোটে মায়াবতীর বিএসপি এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহারা রাষ্ট্রীয় লোকসমতা পার্টি (আরএলএসপি)-র সঙ্গে সমঝোতা করে ওয়েইসির দল ২০টি আসনে লড়ে পাঁচটি দখল করেছিল। সবগুলিই পশ্চিমবঙ্গের গা-ঘেঁষা সীমাঞ্চল এলাকার কিসানগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে। আরও অনেক বেশি আসনে এমআইএম ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মুসলিম ভোটে ভাগ বসানোর বিজেপির সুবিধা হয়ে গিয়েছিল। ওই আসনগুলিতে সামগ্রিক ভাবে ‘মিম’ প্রার্থীরা ১৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।
পরবর্তী সময়ে মিমের পাঁচ বিধায়কের তিন জনই লালুর দল আরজেডিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কিষাণগঞ্জে মিম প্রার্থী আখতারউল তৃতীয় হয়েছিলেন। কিন্তু পেয়েছিলেন তিন লক্ষেরও বেশি ভোট (প্রায় ২৭ শতাংশ)। কিষাণগঞ্জের পাশাপাশি সীমাঞ্চল এলাকায় পূর্ণিয়া, কাটিহারের মতো জেলাতেও ওয়েইসির দলের ভাল প্রভাব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আলাদা লড়লে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দু’ডজনের বেশি আসনে তারা মহাগঠবন্ধন প্রার্থীদের জয়ের পথে ‘কাঁটা’ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রে লাভবান হবে ক্ষমতাসীন এনডিএ।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া বিহারের আটটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। কিষানগঞ্জ, পূর্ণিয়া, কাটিহার জেলার এই আটটি আসন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর বা মালদহের লাগোয়া। বিহারে মিম ওই আটটি আসনেই লড়েছিল ২০২০-তে। ভোটের ফল বলছে, তারা যে পাঁচটি আসনে জিতেছিল, তার মধ্যে বাংলার সীমানা লাগোয়া চারটি আসন রয়েছে। এর মধ্যে কিষাণগঞ্জের কোচাধামন, পূর্ণিয়ার অমৌর, বৈসি বাংলার উত্তর দিনাজপুর লাগোয়া। ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বাহাদুরগঞ্জ উত্তর দিনাজপুর ও মালদহ লাগোয়া। উত্তর দিনাজপুরের লাগোয়া ঠাকুরগঞ্জেও ২০২০ সালে ভাল ভোট পেয়েছিল ওয়েইসির দল।