ছবি: সংগৃহীত।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হয়েছে উপত্যকার স্থানীয় দলগুলি। সামনেই জম্মু-কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পরিষদ ও পঞ্চায়েতের ভোট। ঠিক তার আগে এনসি, পিডিপি-সহ দশ দলের ওই দাবিকে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ সমর্থন করায় আজ জাতীয়তাবাদের তাস খেলে এ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের প্রশ্ন, বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে সরব পাকিস্তান। কংগ্রেসও সেই দাবি তুলেছে। তাই কংগ্রেসের উচিত স্পষ্ট করে জানানো যে তারাও কি পাকিস্তানের মতোই ওই মর্যাদা ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী?
সম্প্রতি ফারুক আবদুল্লার দল এনসি, মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি-সহ উপত্যকার দশটি দল বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে সরব হয়। এ নিয়ে একটি ঘোষণাপত্রও সামনে এনেছে ওই জোট। আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লারেশন’ (পিএজিডি)। ওই জোট ও জোটের ঘোষণাপত্রকে সমর্থন করে মুখ খোলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তারপরেই আজ কংগ্রেস নেতৃত্বকে আক্রমণ শানিয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “আমি সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর কাছে জানতে চাই যে তাঁরাও কি বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর পক্ষপাতী? তাঁদের উচিত দেশের মানুষকে স্পষ্ট করে জানানো যে তাঁরা জনমুখী আইন প্রত্যাহারের পক্ষে কি না?”
সামনেই জেলা উন্নয়ন পরিষদের ভোট রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। প্রথম দফায় মোট ৪৩টি আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে। ভোট হবে পঞ্চায়েত পর্যায়েও। তার আগে দশ দলের জোট গঠন এবং সেই জোটকে কংগ্রেস সমর্থন করায় বেকায়দায় বিজেপি। বিরোধীদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও আজ মুখ খুলেছেন এ নিয়ে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান ও অন্য ভারত বিরোধী দেশগুলি যে ভাষায় কথা বলে, এই জোটও সেই ভাষায় কথা বলছে। যাদের সমর্থন করছে কংগ্রেস। এদের এই জোট অপবিত্র। এরা সংসদে পাশ হওয়া আইনকে বদলাতে চায়।’’