UP Police Involved in Murder

তদন্তের সূত্রে পরিচয়! সম্পর্কের অবনতি হতেই যুবতীকে খুন উত্তরপ্রদেশের পুলিশকর্মীর, গ্রেফতার

নিহত যুবতীর নাম কিরণ (৩০)। একটি তদন্তের সময় উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলার কাবরাই থানা এলাকার বাসিন্দা কিরণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল পুলিশকর্মী অঙ্কিত যাদবের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ২১:৩৩
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

তদন্তের সূত্রে এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল পুলিশকর্মীর। ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল। সেই সম্পর্কের অবনতি হতেই যুবতীকে খুন করে বসলেন সাব-ইনস্পেক্টর। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নিহত যুবতীর নাম কিরণ (৩০)। একটি তদন্তের সময় উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলার কাবরাই থানা এলাকার বাসিন্দা কিরণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল পুলিশকর্মী অঙ্কিত যাদবের। অঙ্কিত মাহোবা সার্কেল অফিসে সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কর্মরত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ নভেম্বর রাতে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে একটি সন্দেহজনক গাড়ির খোঁজ পায় পুলিশ। জানা যায়, গাড়িটির মালিকের নাম দেবেন্দ্র কুমার। দেবেন্দ্রকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

জেরায় দেবেন্দ্র জানান, সাব-ইনস্পেক্টর অঙ্কিত ১২ নভেম্বর রাতে তাঁর গাড়িটি নিয়ে গিয়েছিলেন। দেবেন্দ্রের দাবি, অঙ্কিত তাঁকে বলেছিলেন তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এর পর অঙ্কিতকে আটক করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ওই সাব-ইনস্পেক্টর খুনের কথা স্বীকার করে নেন। কাবরাই থানায় কর্মরত থাকাকালীন কিরণের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে দায়ের করা পণের দাবিতে নির্যাতনের মামলার তদন্ত করছিলেন অঙ্কিত। সেই সূত্রেই কিরণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল অঙ্কিতের। ১২ নভেম্বর রাতে দু’জনে দেবেন্দ্রের গাড়িতে করে মুসকারার দিকে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে কোনও বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাসোয়ারী রোডের কাছে এসে কিরণ অঙ্কিতকে গাড়ি থামাতে বলেন। অভিযোগ, তখনই গাড়ির ভিতরে রাখা একটি লোহার রড দিয়ে কিরণের মাথায় আঘাত করেন ওই পুলিশকর্মী। তার পর বান্ধবীর দেহটি কাছের একটি গর্তে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। মৌদহ থানার ইনচার্জ উমেশ সিংহ বলেন, ‘‘জেরায় অঙ্কিত জানিয়েছেন, কিরণের জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছিলেন তিনি। খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement