—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
যুবতীর দেহ সৎকারের পরে গ্রেফতার হলেন তাঁর প্রেমিক। দাহকার্যের চার দিন পরে মেয়ের ফোন খুলে দেখার পর পুলিশের কাছে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, প্রতারণা-সহ নানা অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা। মহারাষ্ট্রের ঠাণের ঘটনা।
গত বৃহস্পতিবার ২৩ বছরের এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। জানা যায়, বুধবার রাতে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে যাওয়ার পরে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন তিনি। কিন্তু মেয়ে কেন আত্মহত্যা করল, তার জবাব পাচ্ছিল না পরিবার। গত রবিবার কৌতূহলের বশে সদ্যমৃত মেয়ের ফোন ঘাঁটছিলেন বাবা। তিনি দেখেন, মেয়ের মৃত্যুর রাতে তাঁর ফোন থেকে শেষ বার একটি ভিডিয়ো কল হয়। সেই সূত্র ধরে প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। মেয়ে এবং তাঁর ‘প্রেমিকের’ হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট দেখে বাবার বদ্ধমূল ধারণা, এই মৃত্যুর দায় এক যুবকের। ঘটনাক্রমে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। অভিযোগ, প্রেমিকাকে মানসিক নির্যাতন করতেন তিনি। ব্ল্যাকমেলও করেছেন। তার পরেই ওই যুবতী নিজেকে শেষ করে দেন।
পুলিশের কাছে মৃতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ে ছাড়াও বেশ কয়েক জনের সঙ্গে প্রেম করতেন অভিযুক্ত। মেয়ে সেটা ধরে ফেলার পর পাল্টা ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দুই যুবক-যুবতীর আলাপ হয়েছিল ইনস্টাগ্রামে। সেখান থেকে বন্ধুত্ব এবং প্রেম।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার পরিবারের দাবি, বিভিন্ন অজুহাতে তাদের মেয়ের কাছ থেকে টাকা নিতেন ওই যুবক। এমনকি, আর্থিক প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে মেয়ের বেশ কিছু গয়না নিয়ে আর ফেরত দেননি। ওই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হচ্ছিল।
তার মধ্যেই প্রেমিকের
বেশ কয়েকটি সম্পর্কের কথা জানতে পারেন যুবতী। তখন পাল্টা ব্ল্যাকমেল শুরু করেন
প্রেমিক। অভিযোগ, প্রেমিকাকে তিনি হুমকি দেন, বাড়াবাড়ি করলে তাঁদের অন্তরঙ্গ ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে
দেবেন। গত বুধবার রাতে এ নিয়েই ভিডিয়ো কলে কথা বলছিলেন দু’জন। বাবার অভিযোগ, ‘‘মেয়ে লজ্জা এবং অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে। আর
এর জন্য দায়ী ওর প্রেমিক।’’
অন্য দিকে, পুলিশ জানিয়েছে তদন্তে গুরুতর একটি সমস্যার কথা। ইতিমধ্যে মৃতার দাহ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার আগে দেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। এবং তখন মৃতার পরিবারের তরফেও কোনও অভিযোগ করা হয়নি। সোমবার এই মামলা নতুন দিকে মোড় নিয়েছে।