স্কুলের পোশাক পরেই মদ কিনছে নাবালিকা! ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলের পোশাক পরে মদ কিনছে একদল নাবালিকা! তা-ও সরকারি মদের দোকান থেকে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের মণ্ডল জেলার নৈনপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমেও। শুরু হয়েছে বিস্তর সমালোচনা।
‘ভাইরাল’ ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে (আনন্দবাজার ডট কম ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি), স্কুলের পোশাক পরা একটি মেয়ে একটি সরকারি মদের দোকান থেকে মদ কিনছে। তার মাথা ওড়না দিয়ে ঢাকা, যাতে সহজে মুখ দেখা না যায়। একটু দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে আরও কয়েক জন স্কুলপড়ুয়া কিশোরী। সকলের পরনেই স্কুলের পোশাক, মাথায় ওড়না। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, মদবিক্রেতা ওই পড়ুয়াদের কোনও প্রশ্নও করছেন না। বরং দিব্যি মদের বোতল তুলে দিচ্ছেন অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে।
ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে পুলিশও। ভিডিয়োটি ‘ভাইরাল’ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তহসিলদার এবং স্থানীয় পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিও) আশুতোষ ঠাকুর। শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে মদ বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, যা আইনত অপরাধ। তবে এখনও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে আবগারি দফতর। দোষ প্রমাণিত হলে বাতিল হয়ে যেতে পারে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার লাইসেন্স। হতে পারে জরিমানাও।
জেলার আবগারি দফতরের কর্তা রামজি পাণ্ডে বলেন, ‘‘দোকানের যে কর্মচারী নাবালিকাদের মদ বিক্রি করেছেন, তাঁকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এ ধরনের ঘটনা শুধু মদ বিক্রি করার লাইসেন্সের শর্তাবলির লঙ্ঘনই নয়, বরং দণ্ডনীয় অপরাধ।’’ তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। দোকানের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই কিশোরীরা নিজেরাই মদ কিনতে এসেছিল, না কি অন্য কেউ তাদের পাঠিয়েছিলেন, সে সবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।