ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য লাইসেন্স-এর ভাবনা

শনিবার কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) এবং আইআইইএসটি শিবপুরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় এসেছিলেন এনবিএ- এর চেয়ারম্যান

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডাক্তারদের মতোই দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের প্র্যাকটিসের জন্য লাইসেন্স চালু করতে চাইছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে কিছুদিনের মধ্যেই বিল আসছে বলে জানালেন ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রিডিটেশন (এনবিএ)-এর চেয়ারম্যান কে কে আগরওয়াল।

Advertisement

শনিবার কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) এবং আইআইইএসটি শিবপুরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় এসেছিলেন এনবিএ- এর চেয়ারম্যান। তিনি জানান, একজন ইঞ্জিনিয়ার একটি সেতু ব্যবহারযোগ্য কিনা সে বিষয়ে মতামত দেন। এক্ষেত্রে সেই ইঞ্জিনিয়ারের লাইসেন্স থাকা প্রয়োজন। যেমন চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তারদের লাইসেন্স থাকে। ইঞ্জিনিয়ারদের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে কেন্দ্রের উদ্যোগের কথা জানানোর পাশপাশি এ দিন তিনি জানান, এনবিএ-র শংসাপত্র পাওয়ার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির তরফ থেকে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) গত বছর জানিয়েছিল, চার বছরের মধ্যে পৃথক ভাবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতিটি বিষয়ে এনবিএ-র শংসাপত্র সংগ্রহ করতে হবে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে। না-হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধও করে দেওয়া হতে পারে। কুয়েতে চাকরি করতে গিয়ে এনবিএ-র শংসাপত্র পাওয়া কলেজের ডিগ্রি না থাকায় বহু ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার বিপদে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারেরা।

Advertisement

এ দিন এনবিএ-র চেয়ারম্যান জানান, যে সব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি আসন ফাঁকা থাকে তাদের এই শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে বারণ করা হচ্ছে। কারণ বোঝাই যায়, এই সব কলেজ সম্পর্কে সাধারণের ধারণা ভাল নয়। যদি কোনও কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে ২০ শতাংশের পিএইচডি ডিগ্রি না থাকে তাদেরও শংসাপত্র দেওয়া হবে না। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত এআইসিটিই-র ভাইস চেয়ারম্যান এমপি পুনিয়া জানান, প্রতি বছর দেশে প্রায় ১৩ লক্ষ ইঞ্জিনিয়ার পাশ করেন। চাকরি পান ৬ লক্ষের মতো। তাঁর ব্যাখ্যা, যুগোপযোগী বিষয় না পড়ার জন্যই চাকরি পাচ্ছেন না তাঁরা। এখন যেমন মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটালিজেন্স-এর তালিমপ্রাপ্তদের খুব চাহিদা। তবে এনবিএ- এর চেয়ারম্যান এই বিষয়ে সহমত নন। তিনি বলেন ক্যাম্পাস ইন্টারভিউতে হয়তো ৬ লক্ষ চাকরি পান। এর পরে অনেকে ম্যানেজমেন্ট পড়তে যান। অনেকে আরও উচ্চশিক্ষায় যান। বিদেশেও উচ্চশিক্ষার জন্য যান। তাঁর বক্তব্য, সদ্য পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারেরা কী চাকরি করবেন তাঁর জন্য যথাযথ পরামর্শ দরকার। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া আর্টিফিশিয়াল ইনটালিজেন্স-এর চাকরি না করে তাঁর বিষয়ের কাছাকাছি কোনও চাকরি যাতে পায় তা দেখতে হবে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত এনআইটি দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসু বলেন, ‘‘স্কুল স্তর থেকেই পড়ুয়াদের ভিত শক্ত হওয়া প্রয়োজন। ভাষার উপর দখল থাকা প্রয়োজন। তেমনই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মূল বিষয়গুলির উপরে দখল থাকলে পরে দক্ষতার নির্দিষ্ট ক্ষেত্র বেছে নিতে অসুবিধা হয় না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement