Ranya Rao Gold Recovery

১৩৮ কোটি লগ্নির কথা ছিল সোনা পাচারে ধৃত রান্যার সংস্থার! জমি বরাদ্দ করে প্রাক্তন বিজেপি সরকার

ইস্পাত কারখানা তৈরির জন্য রান্যার সংস্থাকে ১২ একর জমি বরাদ্দ করেছিল কর্নাটকের তৎকালীন বিজেপি সরকার। ১৩৮ কোটি টাকা খরচ করে সেখানে কারখানা তৈরির কথা ছিল সংস্থাটির।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৩
Share:

কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। —ফাইল চিত্র।

সোনা পাচারের মামলায় ধৃত কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের সংস্থাকে শিল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করে কর্নাটক সরকার! ২০২৩ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ১২ একর জমি দিয়েছিল ‘ক্ষিরোদা প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থাকে। এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর রান্যা। কর্নাটক শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন নিগম (কর্নাটক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াজ় ডেভলপমেন্ট বোর্ড)-এর দেওয়া ওই জমিতে ১৩৮ কোটি টাকা খরচ করে ইস্পাত কারখানা তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয় অভিনেত্রীর সংস্থা।

Advertisement

কর্নাটক শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন নিগমের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক রবিবার জানান, ওই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে সোনা পাচার মামলায় ধৃত অভিনেত্রীর। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ১২ একর জমি বরাদ্দ করা হয় ওই সংস্থার জন্য। ওই কারখানাটি তৈরি হলে সেখানে বহু কর্মসংস্থান হওয়ার কথা বলে জানান কর্নাটক শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন নিগমের আধিকারিক। যদিও সংস্থাকে জমি হস্তান্তর করা হয়ে গিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেনি কর্নাটক সরকার।

গত ৩ মার্চ দুবাই থেকে ফেরার পথে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২ কোটি টাকার সোনা-সহ গ্রেফতার হন রান্যা। তিনি কর্নাটকের এক আইপিএস অফিসারের কন্যা। রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের তদন্তকারীদের অনুমান, এই সোনা পাচারচক্রে রান্যা একা জড়িত নন, নেপথ্যে রয়েছে বড় ‘চক্র’! কিন্তু কী ভাবে ওই চক্রের সঙ্গে রান্যার যোগাযোগ, তাদের জাল কোথায় কোথায় বিস্তৃত, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

শুধু দুবাই নয়, রান্যার পাসপোর্ট খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অন্তত ৪৫টি দেশে ভ্রমণ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, জেরায় অভিনেত্রী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, দুবাই ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার বহু দেশে তিনি যাতায়াত করেছেন। কেন ঘন ঘন এত বিদেশযাত্রা, তা-ও তদন্ত করে দেখছেন তদন্তকারীরা। সোনা পাচারের এই মামলার তদন্তে নামছে সিবিআইও। রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও সোনা পাচার মামলায় তথ্যানুসন্ধান শুরু করছে। সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ়-১৮’ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিআরআই-এর থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। তার পরই তদন্ত জোরদার করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। জাতীয় পর্যায়ে সোনা চোরাচালানের কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবেন গোয়েন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement