পঠানকোটে হামলার ৫ দিন পরেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক উত্তর খুঁজছে, জঙ্গিদের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও, কী ভাবে জঙ্গিরা অনায়াসে ঘাঁটির এতটা ভিতরে ঢুকে এল, নিজেরা নিকেশ হওয়ার আগে সাত জওয়ানকে হত্যা করে গেল? এর উত্তরে সামরিক বাহিনীগুলির বিভিন্ন স্তরে পাল্টা যে প্রশ্নটি উঠে আসছে তা হল, জঙ্গি দমনের অভিযান শুরুর আগেই তার নেতৃত্ব নিয়ে এমন টানাপড়েন ও সিদ্ধান্তহীনতা, এর আগে কি কখনও দেখা গিয়েছে?
প্রথমে পঠানকোটে অভিযানের দায়িত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার মর্যাদার এক অফিসার। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নির্দেশে এনএসজি কম্যান্ডোদের সঙ্গে আসেন আইজি (অপরাশেন)। ওই এনএসজি অফিসার পদমর্যদায় মেজর জেনারেলের সমান। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়, যখন অভিযানে এসে যোগ দেন বায়ুসেনার ওয়েস্টার্ন কম্যান্ডের এয়ার অফিসার কম্যান্ডিং।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
সীমান্তের গুরুদ্বারে সেই রাতেই প্রথম যান এসপি
অভিযান কার সিদ্ধান্তে চলবে, একটা সময়ে তা নিয়ে চূড়ান্ত মতপার্থক্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সূত্রের খবর, শুরুর দিকে এই বিভ্রান্তিরই সুযোগ নেয় জঙ্গিরা। তাতেই পরিস্থিতি এত জটিল হয়ে পড়ে। শেষে পদমর্যাদায় জুনিয়র ওই সেনাকর্তা পিছিয়ে আসেন। ঘাঁটিতে ফিরে যেতে বলা হয় বায়ুসেনার আধিকারিককেও। শেষ পর্যন্ত অভিযানের নেতৃত্ব দেন ডোভালের নির্দেশে উড়ে আসা ওই এনএসজি কর্তা। সেনাকর্তাদের মতে, ওই কম্যান্ডোদের প্রয়োজনই ছিল না। আধ ঘণ্টায় উড়িয়ে আনা যেত জঙ্গি দমনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্যারা স্পেশাল ফোর্স। সেনা সূত্রে আজ জানানো হয়েছে তল্লাশি চললেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পঠানকোট বায়ু সেনাঘাঁটি।