Left Front

কাশ্মীরেও কংগ্রেসের পাশে বাম

গত বছর অগস্টের পাঁচ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দু’টুকরো করে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে নরেন্দ্র মোদী  সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২০ ০২:৫১
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

পশ্চিমবঙ্গের পরে কাশ্মীরেও হাতে হাত মিলিয়ে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করল কংগ্রেস ও সিপিএম। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে ছয়টি রাজনৈতিক দল। এদের মধ্যে চারটিই কাশ্মীরের আঞ্চলিক দল। বাকি দু’টি জাতীয় দল হল কংগ্রেস ও সিপিএম।

Advertisement

গত বছর অগস্টের পাঁচ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দু’টুকরো করে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার পর থেকে রাজ্যে সব রকম রাজনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ। বিভিন্ন দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মীকে জেলে পুরেছে সরকার। আন্তর্জাতিক সমালোচনা এবং অতিমারির আবহে মুক্তি দেওয়া হয়েছে হাতে গোনা কয়েক জনকে।

এই পরিস্থিতিতে ছয়টি দলের নেতারা বৈঠকে বসে কাশ্মীরের ‘বিশেষ অধিকার’ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা করেছেন। সেই ঘোষণাপত্র শনিবার প্রকাশ করা হলেও, ছয়টি দলের নেতারা ঠিক কোথায় বৈঠকে বসেছিলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। একটি সূত্রের খবর, ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ বিচারপতি (অবঃ) হাসনাইন মাসুদির বাড়িতে বৃহস্পতিবার এই বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সম্ভবত পুলিশি হেনস্থা এড়াতেই মাসুদি তা অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, কোনও একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়নি। নেতারা ধারাবাহিক বৈঠকে বসে এই ইস্তাহারটি চূড়ান্ত করেছেন। কংগ্রেসের গোলাম আহমেদ মির, সিপিএমের মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি ছাড়া ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা, পিডিপি-র মেহবুবা মুফতি, পিপল্‌স কনফারেন্সের সাজ্জাদ গনি লোন এবং আওয়ামি ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুজফ্ফর শাহ এই যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এঁদের মধ্যে মেহবুবা মুফতি প্রায় এক বছর ধরে জেলেই রয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন মেয়াদে কারাবাস কাটিয়ে ফিরেছেন।

Advertisement

গত বছর পাঁচ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগের দিন ফারুক আবদুল্লার গুপকার রোডের বাসভবনে উপত্যকার সব প্রধান দলের নেতারা বৈঠকে বসে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। এ দিনের ইস্তাহারে ‘গুপকার ঘোষণাপত্র’-এর প্রতি নতুন করে আস্থা জানানো হয়েছে। কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে মুক্তি দেওয়ার দাবিও নতুন ঘোষণাপত্রে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন