Coronavirus in India

চিনকে রুখতে গিয়ে বাড়ছে করোনা, চিন্তা লাদাখে

গত এপ্রিল থেকেই চিনা সেনা লাদাখে শক্তি বাড়াতে শুরু করেছিল। প্রায় মাসখানেক দেরিতে, মে মাসের মাঝামাঝি পাল্টা তৎপরতা দেখায় ভারত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৫:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

চিনের হানাদারদের রুখতে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গতিবিধি বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু তার পর থেকেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে গত কাল লে-তে সেনার তরফে একটি কোভিড পরীক্ষাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।

Advertisement

গত এপ্রিল থেকেই চিনা সেনা লাদাখে শক্তি বাড়াতে শুরু করেছিল। প্রায় মাসখানেক দেরিতে, মে মাসের মাঝামাঝি পাল্টা তৎপরতা দেখায় ভারত। চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে লাদাখে পৌঁছতে শুরু করে বাড়তি সেনা, সাঁজোয়া গাড়ি, কামান, গোলাবারুদ, ট্যাঙ্ক। দেশের অন্যত্র মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়া শুরু হলেও লাদাখ ছিল একেবারে সংক্রমণ-মুক্ত। বিস্তীর্ণ বন্ধুর ভূ-ভাগের কারণে জনসংখ্যা কম হওয়ায় লাদাখে মে মাসের প্রথম তিন সপ্তাহ পর্যন্ত একটিও সংক্রমণের ঘটনা দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র বলছে, মে মাসের মাঝামাঝি থেকে লাদাখে সেনার গতিবিধি বাড়ে। ওই সময়েই, ২০ মে লাদাখে প্রথম কোভিড রোগী পাওয়া যায়। তার পর থেকেই সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েছে। এ পর্যন্ত লাদাখে সংক্রমিত হয়েছেন ১২১০ জন। মারা গিয়েছেন ২ জন।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন সেনার মোকাবিলায় লাদাখে এই মুহূর্তে অতিরিক্ত প্রায় চল্লিশ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। যাঁদের উড়িয়ে আনা হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এ ছাড়া সড়ক নির্মাণের কাজ অব্যাহত থাকায় নির্মাণকর্মী, পূর্তকর্মী, বিদ্যুৎ-ফোনের লাইন পাতার মতো বিভিন্ন পেশার কয়েক হাজার মানুষ এখন লাদাখে রয়েছেন। এঁদের অধিকাংশই ভিন্‌ রাজ্যের। স্থানীয় আবহাওয়া তথা তাপমাত্রার হেরফেরে শরীরকে সইয়ে নিতে না-পারায় কিছু দিন বাদেই একদল কর্মীকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে নতুন লোক পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থাগুলি। ফলে নিয়মিত ভাবে নতুন লোকজনের যাতায়াতের বিষয়টি সংক্রমণ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ। তা ছাড়া, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেনার জওয়ানদের উড়িয়ে নিয়ে আসা ও তাঁদের পর্যাপ্ত সময় নিভৃতবাসে না-রেখেই সীমান্তরক্ষার কাজে নামিয়ে দেওয়াটা বর্তমান অতিমারির পরিস্থিতিতে যথেষ্ট ঝুঁকির বলেই মত স্বাস্থ্যকর্তাদের। এটি লাদাখের মতো জনবিরল এলাকাতেও সংক্রমণ বৃদ্ধির বড় কারণ।

Advertisement

সূত্রের মতে, স্থানীয় পর্যায়ে সংক্রমণ বাড়ছে দেখে লে-র সেনা ক্যাম্পাসে একটি করোনা-পরীক্ষাকেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সেনার সংস্থা ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডিআরডিও)। এত দিন লাদাখের বাসিন্দাদের নমুনা চণ্ডীগড় বা দিল্লি পাঠানো হত পরীক্ষার জন্য। আগামী দিনে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে লাদাখ সীমান্তে বড় সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। সমগ্র পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে লে-তেই ওই কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই কেন্দ্রে প্রতি দিন ৫০টি করে কোভিড পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement