Coronavirus

দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬ লক্ষ ছাড়াল, কেরল বাদে নিয়ন্ত্রণে বাকি রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ

দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬ লক্ষ ১০ হাজার ৮৮৩ জন। মোট আক্রান্তে বিশ্বে প্রথম আমেরিকা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২১ ১০:৫৭
Share:

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দৈনিক সংক্রমণ মঙ্গলবার ১০ হাজারে নামার পর বুধবার তা সাড়ে ১৩ হাজার ছাড়িয়েছিল। বৃহস্পতিবার তা আবার ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও মোটের উপর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে নতুন সংক্রমণ। এর পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুও অনেক দিন ধরেই ২০০-র নীচে থাকছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমে ২ লক্ষের নীচে নেমেছে। চুম্বকে এটাই দেশের করোনা-চিত্র।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২২৩ জন। এখনও অবধি দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬ লক্ষ ১০ হাজার ৮৮৩ জন। মোট আক্রান্তে বিশ্বে প্রথম আমেরিকা। সেখানে মোট আক্রান্ত ২ কোটি ৪৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে দেড়-দুই লক্ষ। ভারতের পিছনে তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলেও দৈনিক সংক্রমণ গত এক মাসে ধরে বেশি। সেখানে মোট আক্রান্ত ৮৬ লক্ষ ৩৮ হাজার।

করোনাভাইরাস দেশে এখনও অবধি ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৬৯ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৫১ জন। দেশে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে (৫০,৫৮২)। সেখানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে তা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। দিল্লিতে তা সাড়ে ১০ হাজার পার করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও তা ১০ হাজার পেরিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশও সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য।

Advertisement

এ সবের পাশাপাশি দেশে সুস্থতার হার শুরু থেকেই বেশি। দেশে কোভিড রোগীর সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১ কোটি ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭০৬ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৯৬৫ জন। এই সুস্থতার জেরে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা হয়েছে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩০৮ জন। দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৩৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমণের হার ১.৯৫ শতাংশ।

পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে গত ক’দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৯ জন। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৮২ জন। যদিও এর মধ্যে ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭২৭ জন মানুষই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন