Plane Crash in Ahmedabad

অহমদাবাদে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৪! বিমানের ধ্বংসস্থলে বহু স্থানীয়ের মৃত্যু, উদ্ধার দেহাংশ, মেলেনি সরকারি পরিসংখ্যান

স্থানীয় সূত্রে খবর, অনেকের সম্পূর্ণ দেহ পাওয়া যায়নি। ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে উদ্ধার করা হয়েছে দেহাংশ। তা শনাক্ত করার জন্য পরিবারের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ০৮:৪১
Share:

অহমদাবাদের ধ্বংসস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।

অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৪। যদিও এখনও এ বিষয়ে সরকারি কোনও পরিসংখ্যান মেলেনি। বিমানে ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে গুজরাত পুলিশের তরফে ২৬৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। বিমানের ধ্বংসস্থল থেকে আরও দেহ এবং দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ২৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

Advertisement

অহমদাবাদ বিমানবন্দর ছেড়ে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ বিমানটি নিকটবর্তী বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খায়। সেটি ডাক্তারদের হস্টেল ভবন। সংঘর্ষের পরেই তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ হয় এবং বিমানে আগুন ধরে যায়। যেখানে বিমানটি ভেঙেছে, সেখানেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিমানের কোনও না কোনও অংশের ধাক্কায় বা বিস্ফোরণের আগুনে তাঁরা ঝলসে গিয়েছেন। স্থানীয় অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতাল এবং বিজে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, অনেকের সম্পূর্ণ দেহ পাওয়া যায়নি। ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে উদ্ধার করা হয়েছে দেহাংশ। কারও শুধু হাত খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, কারও পায়ের অংশ। এই সমস্ত দেহাংশ শনাক্ত করা কঠিন। অনেকের সম্পূর্ণ দেহ মিললেও তা চেনা যাচ্ছে না। শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে গুজরাত প্রশাসন। যাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, যাঁরা বিমানে ছিলেন বা বিমান ধ্বংসের ঘটনাস্থলে ছিলেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ডিএনএ নমুনা চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

অহমদাবাদের মেঘানিনগরে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ এখনও পুরোপুরি সরানো যায়নি। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ সরাতে এখনও বেশ খানিকটা সময় লাগবে। ফলে কেউ তার নীচে চাপা পড়ে আছেন কি না, বলা যাচ্ছে না। ধ্বংসস্তূপ সম্পূর্ণ সরানো গেলে মৃত্যু নিয়ে সরকারি পরিসংখ্যান মিলতে পারে।

১২ জুন বেলা ১টা ৩৮ নাগাদ অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তা ভেঙে পড়ে। বিমানে ২৪২ জনের মধ্যে যাত্রী ছিলেন ২৩০ জন। বাকিরা পাইলট এবং বিমানের ক্রু সদস্য। ওই বিমানে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাত জন পর্তুগিজ এবং এক জন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে জীবিত রয়েছেন কেবল এক জন। তাঁর নাম বিশ্বাসকুমার রমেশ। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement