নয়াদিল্লি-ভাগলপুর সাপ্তাহিক ১২৩৫০ এক্সপ্রেসে এই ডাকাতির ঘটনা ফের রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
গভীর রাতে এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রেখে লুটপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। বিহারের মুঙ্গেরের ঘটনা। গত রাতে নয়াদিল্লি-ভাগলপুর সাপ্তাহিক ১২৩৫০ এক্সপ্রেসে এই ডাকাতির ঘটনা ফের রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
রেলযাত্রীরা জানান, ডাকাতির সময়ে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। যাত্রীদের মোবাইল, গয়না থেকে শুরু করে রাতের কম্বল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে ডাকাতেরা। লুটপাটের পাশাপাশি মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ট্রেনটির এস-৮, এস-১০ এবং বি-২ কামরায় লুটপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সব মিলিয়ে তারা ৩০ লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে পালিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। আক্রান্তদের বেশিরভাগের বাড়ি জামালপুর, ভাগলপুর, সুলতানগঞ্জ ও মুঙ্গেরে।
আক্রান্ত যাত্রীরা জানান, কিউল স্টেশন ছাড়ার পরে পওয়াই হল্ট ও দেতাবাঁধ স্টেশনের মাঝে চেন টেনে ট্রেন দাঁড় করানো হয়। অভিযোগ, প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে লুটপাট চলে। কিন্তু কোনও পুলিশই আসেনি। ট্রেনের ভ্যাকুম ঠিক করতে যাওয়া চালককেও দুষ্কৃতীরা আটকে রাখে। দুষ্কৃতীরা মুখ ঢেকে এসেছিল বলেও জানিয়েছেন যাত্রীরা। মহিলাদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রেল পুলিশের ডিএসপি শিবেন্দ্র অনুভবি ট্রেনে এসকর্ট না থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। তবে পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, ওই এলাকা মাওবাদী প্রভাবিত। রাইফেল ছিনতাই হওয়ার ভয়ে রাতের ট্রেনে রক্ষী রাখা হয় না। ঘটনার পিছনে মাওবাদীদের হাত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পুলিশ কর্তারা।