যুগলকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। —প্রতীকী চিত্র।
জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা প্রত্যেকের ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মিলে বিবাহের সিদ্ধান্ত নিলে পরিবার বা সম্প্রদায় তাতে বাধা দিতে পারে না। সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এক যুগলকে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছিল। ওই যুগলে পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দেওয়ার সময়ে এই মন্তব্য করে আদালত। যুগলের মধ্যে প্রায় ১১ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এখন তাঁরা বিয়ে করতে চাইছেন। কিন্তু তাঁদের এই সিদ্ধান্ত জানাজানি হওয়ার পরেই হুমকির মুখে পড়তে হয় যুগলকে। এমনকি পরিবার এবং আত্মীয় পরিজনদের তরফেও হুমকি আসতে থাকে। ওই মামলার নির্দেশ দেওয়ার সময়ে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী এক রায়ের কথাও উল্লেখ করে হাই কোর্ট।
ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ওই রায়ের উল্লেখ করে হাই কোর্ট জানিয়েছে, যখন দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক পরস্পরের সম্মতিতে বিয়ে বা সহবাসের সিদ্ধান্ত নেন, সেখানে পরিবার বা সম্প্রদায়ের কেউ আইনত বাধা দিতে পারেন না। ওই যুগলের উপর চাপ তৈরি করাও যাবে না।
আদালতের নির্দেশ, স্থানীয় থানার এক জন কনস্টেবলকে ওই যুগলের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখতে হবে। ওই যুগলের উপর কী ধরনের হুমকি রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, যদি কেউ ওই যুগলকে ভয় দেখায় বা হয়রান করে, কিংবা সন্দেহজনক ভাবে বাড়ির কাছে ঘোরাঘুরি করে, তা হলে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে।